মাঠের অভাব ঘোচাবে সিলেট আউটার স্টেডিয়াম

947

সিলেট, ১ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশে গড়ে তোলা হচ্ছে আরেকটি স্টেডিয়াম। আউটার স্টেডিয়াম নামে আন্তর্জাতিক সবধরণের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮.৭৩ একর জমিতে এটি নির্মাণ করছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। আগামী অক্টোরের মধ্যেই পুরো স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এর সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, আউটার স্টেডিয়ামের নির্মাণ শেষে আগামী অক্টোবর মাসে বিসিবির কাছে এটি হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। এটি পেয়ে গেলে মাঠের খরা কমবে এবং এখানে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক খেলা আয়োজন করা যাবে।
এমনিতে দেশের সবচেয়ে সুন্দর ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে সিলেটের লাক্কাতুরা চা বাগানবেষ্টিত আন্তর্জাতিক এই স্টেডিয়াম। আউটার স্টেডিয়াম নির্মাণের মধ্যে দিয়ে দেশের ক্রিকেট নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। স্টেডিয়ামটিতে থাকবে নতুনত্বের ছোঁয়া। গতানুগতিক ধাঁচের কোন গ্যালারি থাকবে না। সম্পূর্ণ গ্যালারি হবে সবুজ ঘাসে মোড়ানো। ১০ থেকে ১২ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এ স্টেডিয়ামের গ্যালারি জুড়ে থাকবে ১ হাজার ফলজ ও ঔষধি গাছ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া বক্সের সঙ্গে সেতু সংযোগ দিয়ে যে ভবন যুক্ত করা হয়েছে, সেখানে খেলা চালিয়ে নেওয়ার জন্য রাখা হয়েছে দু’টি ড্রেসিং রুম, খেলোয়াড়-আম্পায়ার-স্কোরারদের জন্য ডাইনিং রুম ও হসপিটালটি বক্স। এই ভবনের ছাদে থাকছে সাংবাদিকদের জন্য বসে খেলা দেখার ব্যবস্থা।
দুই মাঠের মাঝামাঝি জায়গায় ৬০জন খেলোয়াড়ের আবাসনের সুবিধা নিয়ে তৈরির অপেক্ষায় আছে একটি ডরমিটরি। বিসিবি পরিচালক শফিউল আলম জানালেন, মূলত লীগ পর্যায়ের খেলা নির্বিঘেœ চালাতে এ স্টেডিয়ামটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে, এখানে বড়ধরণের খেলা আয়োজন সম্ভব।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি রোববার সিলেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার খেলা দেখতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এসময় তিনি সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে বিশে^র অন্যতম সেরা একটি স্টেডিয়াম উল্লেখ করে আউটার স্টেডিয়ামটির কথা তুলে ধরেন।
বিসিবি সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে খেলার মাঠ নিয়ে সবচেয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ঢাকা লীগ শুরু করতে চাচ্ছি কিন্তু, মাঠের অভাবে ঢাকায় খেলা আয়োজন করা যাচ্ছে না। চিটাগং ও কক্সবাজারে লীগ করতে হচ্ছে। খেলার মাঠ না থাকলে খেলোয়াড় তৈরি করা যাবে না। সিলেটের আউটার ফিল্ড এক্ষেত্রে বিরাট সাহায্য করবে।