বাসস দেশ-১৫ : ভোলার ২টি অভায়শ্রমে কাল থেকে দুই মাসের মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা

127

বাসস দেশ-১৫
ভোলা-অভিযান
ভোলার ২টি অভায়শ্রমে কাল থেকে দুই মাসের মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা
ভোলা, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে জেলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমটার এলাকায় সব ধরনের মৎস্য শিকারে আগামীকাল থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে।
নির্ধারিত এলাকায় ইলিশের দুইটি অভায়শ্রমে জাটকা বড় হওয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্যই সরকার মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস মাছ ধারায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর মধ্যে তেতুলিয় নদীর ভেদুরিয়া এলাকা থেকে চর রুস্তম পর্যন্ত ১শ’ কিলোমিটার এলাকায় ১টি অভায়শ্রম ও মেঘনা নদীর ইলিশা থেকে চরপিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটারে অন্যটি রয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজাহারুল ইসলাম বাসস’কে বলেন, ইলিশ মাছের সুরক্ষায় সরকার ২০১২ সাল থেকে এই কার্যক্রম শুরু করে। ইতোমধ্যে এর সুফল পাওয়া শুরু হয়েছে। এবার ইলিশ মৌসুম শেষ হওয়ার পরেও শীতে বাজারে প্রচুর ইলিশ পাওয়া গেছে। গত বছর ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিকটন ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার মেট্রিকটন। এ বছর আরো বেশি ইলিশ পাওয়া যাবে বলে আশা তার।
তিনি আরো বলেন, এই ২ মাস জেলার ৭০ হাজার ৯ শ’ ৩৭টি জেলে পরিবারের জন্য ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে তা বিতরণ শুরু হয়েছে। তাই নির্ধারিত সময়ে এই ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় মৎস্য শিকার না করতে জেলেদের মাঝে সচেতনতামূলক সভা, মাইকিং, পোস্টার, ব্যানার, লিফলেটসহ বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এই সময়টাতে অভায়শ্রমে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের পোনা অবস্থান করে। তাই অন্য মাছ ধরার জাল পড়লে ইলিশের বাচ্চা মারা পড়তে পারে। এই সময়ে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ অভিযান চলবে বলে জানান তারা। এছাড়া দেশের মোট ৬টি ইলিশের অভায়শ্রমের মধ্যে আগামীকাল থেকে ৫টিতে মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞার অভিযান চলবে।
বাসস/এইচএএম/এমআর/১৯১৯/এসই