জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্ব নেতাদের বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা

618

ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : প্যারিসে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বৃহস্পতিবার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় অঙ্গীকার ও পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছেন।
অভিযোজন সম্পর্কিত গ্লোবাল সেন্টারের বোর্ড সভায় বাংলাদেশ ও তার নেতৃত্বের প্রশংসা করা হয়, আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
গ্লোবাল সেন্টার অ্যাডাপ্টেশন (জিসিএ) এর সর্বশেষ বৈঠক সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনকেও বিশ্ব নেতৃবৃন্দ প্রশংসা করেছেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) প্যারিসে আয়োজিত গ্লোবাল সেন্টারের অভিযোজন সম্পর্কিত বোর্ডের সভায় অংশ নিয়ে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক ঝুঁকির জন্য তহবিল ও কর্মসূচি বরাদ্দ করার সময় বিশ্ব সম্প্রদায়কে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় জনসচেতনতা এবং উদ্ভাবন এবং স্থানীয় ভিত্তিক সমাধানের স্বীকৃতি দিয়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন ড. মোমেন।
জিসিএ বৈঠকে মন্ত্রী বন্যা, খরা ও লবণাক্ততা প্রতিরোধী বীজ, বৃষ্টির পানি সংগ্রহ, ছাদবাগান, নৌকা-স্কুল চালু করা, ভাসমান কৃষিকাজসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলো মানিয়ে নিতে যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে এবং নিজস্ব তহবিল থেকে যে তহবিল গঠন করেছে তার একটি বিবরণ দেন।
সভায় নবগঠিত সংস্থা এবং প্রস্তাবিত আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রশাসনিক সমস্যাগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়। সিজিএ-এর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয় ঢাকায়।
জলবায়ু অভিযোজন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির রেকর্ডের কারণে পররাষ্ট্রন্ত্রীর অভিযোজন বিষয়ে নবগঠিত গ্লোবাল সেন্টারের বোর্ড সদস্য হওয়ার জন্য আমন্ত্রিত হয়েছিল।
জলবায়ু পরিবর্তনের ইস্যুতে সোচ্চার হওয়া বিশ্ব নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন এবং নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে ও সুইডেনের মন্ত্রীগণ এবং প্যারিস, রটারড্যাম ও মায়ামির মেয়র রয়েছেন।
চীন, ফিলিপাইন এবং বাংলাদেশকে এশিয়া থেকে বোর্ড সদস্য হওয়ার জন্য আমন্ত্রিত করা হয়েছিল।