বাসস ক্রীড়া-১ : ব্যাকফুটে থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করছে দক্ষিণ আফ্রিকা

233

বাসস ক্রীড়া-১
ক্রিকেট-ওয়ানডে
ব্যাকফুটে থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করছে দক্ষিণ আফ্রিকা
পার্ল, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ (বাসস) : টানা দু’টি টি-২০ সিরিজ হারে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। দেশের মাটিতে গেল দু’সপ্তাহের মধ্যে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে টি-২০ সিরিজ হারে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে চলতি মাসের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ড্র করেছে প্রোটিয়ারা। ঐ সিরিজটি অনুপ্রেরণা দিচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। পক্ষান্তরে বিশ্বকাপের পর প্রথম ওয়ানডে সিরিজ হারলেও, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ জিতে আত্মবিশ্বাসী অস্ট্রেলিয়া। এ অবস্থায় আগামীকাল থেকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। পার্ল-এ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়।
বিশ্বকাপের বাজে পারফরমেন্সের পর বোর্ডসহ জাতীয় দলেও পরিবর্তন আনে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু তাতে ভাগ্য ঘুড়াতে পারছে না প্রোটিয়ারা। ভারত ও ইংল্যান্ডের কাছে টেস্ট সিরিজ হার। সাথে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে টি-২০ সিরিজ হার। তাই সমালোচনা যেন ঘিরে ধরেছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
কিন্তু এটিকে চাপ অনুভব করছেন না দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক। সামনে আরও বেশি চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও যেকোন পরিস্থিতি উৎরে গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে চোখ ডি ককের। তবে কাজটি বেশ চ্যালেঞ্জের হবে তার জন্য। কারন কয়েক জন অভিজ্ঞদের ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্রাম দেয়া হয়েছে সাবেক অধিনায়ক ফাফ ডু-প্লেসিস, ফন ডার ডুসেন ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে। তাদের পরিবর্তে দলে এসেছেন লুথো সিপামলা, জানেমান মালান ও কাইল ভেরেনে।
এদিকে, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ছাড়া পুরো শক্তির দল নিয়েই মাঠে নামবেন অ্যারন ফিঞ্চ। ইনজুরির কারনে ওয়ানডে সিরিজের দলে থেকেও শেষ মূর্হুতে বাদ পড়েন ফিঞ্চ।
২০১৮ সালের মার্চে কেপ টাউন টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কেপ টাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ে জড়িত ছিলেন স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। সেই কেপ টাউনেই টি-২০ সিরিজ জয়ের স্বাদ নেন স্মিথ-ওয়ার্নার।
এই মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হবার পাশাপাশি উইকেটরক্ষক, অধিনায়কের ভারও বহন করছেন ডি কক।
গত সেপ্টেম্বর তিন ফরম্যাটে ছয় সিরিজের চারটিই হারে দক্ষিণ আফ্রিকা। দু’টি ড্র হয়। ভারতের সাথে টি-২০ সিরিজ ড্র করা ছাড়াও সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘিœত সিরিজ ড্র করে প্রোটিয়ারা। এরমধ্যে ১৭টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৫টিতে জয় পায় তারা। জয় পাওয়া ৫টি ম্যাচের চারটিতে অবদান ছিলো ডি ককের। এরমধ্যে তিনটিতেই ম্যাচ সেরা হন তিনি।
ছয় সিরিজের মধ্যে পাঁচটিতে দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ডি কক। অন্যটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিলো তার। ওয়ানডে ও টি-২০র দশ ম্যাচে ওপেনার হিসেবে দলের পক্ষে ছয়টিতেই সর্বোচ্চ রান ছিলো ডি ককের।
ডি কক ব্যর্থ হলেই ব্যাটিং লাইন-আপ ভেঙ্গে পড়ে। সেটি দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে। প্রথম ও তৃতীয় টি-২০ ম্যাচের শুরুতেই অসি পেসার মিচেল স্টার্কের বলে আউট হন তিনি। এরপরই তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন-আপ। তাই ঐ দু’টি ম্যাচে ১শর নীচে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা।
দুর্দান্ত ফর্মের পরও এখনও শিখছেন বলে জানান ডি কক, ‘আমি এখনো শিখছি। এমন অনেক কিছুই আছে সাধারন খেলোয়াড় হিসেবে আমি এখনও দেখিনি। আমি আশা করি,আমি আরও ভালো করতে পারি এবং স্কোরকার্ডে ভাল রান যোগান দিতে পারবো।’
দক্ষিণ আফ্রিকা দল : কুইন্টন ডি কক (অধিনায়ক), তেম্বা বাভুমা, ডেভিড মিলার, কাগিসো রাবাদা, আন্দিলে ফেলুকুওয়াও, তাবরিজ শামসি, লুঙ্গি এনগিদি, বিউরান হেনড্রিকস, এনরিখ ক্লাসেন, জানেমান মালান, জন-জন স্মুটস, এনরিখ নর্টি, লুথো সিপামলা, কেশব মহারাজ ও কাইল ভেরেনে।
অস্ট্রেলিয়া দল : অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), অ্যাস্টন আগার, অ্যালেক্স কেরি, প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজেলউড, মানার্স লাবুশেন, মিচেল মার্শ, কেন রিচার্ডসন, ডি আর্চি শর্ট, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, ম্যাথু ওয়েড, ডেভিড ওয়ার্নার ও এডাম জাম্পা।
বাসস/এএমটি/১০০০/স্বব