করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সহযোগিতা সংক্রান্ত শেখ হাসিনার চিঠির প্রশংসায় চীনা প্রেসিডেন্ট

512

ঢাকা, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সংহতি প্রকাশ ও সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়ে তার কাছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা চিঠির প্রশংসা করেছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক বার্তায় চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনার সহানুভূতি এবং সহায়তার প্রস্তাব-সম্বলিত চিঠিটি এক অস্বাভাবিক মুহূর্তে এসেছে, যখন চীন করোনাভাইরাসের মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করছে।’
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিনপিং বলেন, ‘চীনের কমিউনিস্ট পার্টি, চীন সরকার ও চীনের জনগণের পক্ষে আমি চীনের প্রতি আপনার চিঠিতে যথাযথভাবে প্রতিফলিত বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণের বন্ধুত্বপূর্ণ অনুভূতির জন্য আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনে করোনা ভাইরাসে প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রকাশ করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি চীনের প্রেসিডেন্টকে একটি পত্র পাঠান এবং এই সংকট কাটিয়ে উঠতে যে কোন ধরনের সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী পত্রে চীনা প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার বলিষ্ট নেতৃত্বাধীন চীন সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষম হবে এবং সবোচ্চ সক্ষমতায় প্রয়োগে ভাইরাসের বিস্তার ঘটা বন্ধ হবে এবং নিয়ন্ত্রন আসবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সরকার এই দুরাবস্থা লাঘবে যে কোন সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সমগ্র জাতি সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রনমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে সবোর্চ্চ কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি কঠোর প্রচেষ্টায় ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে এবং ভাইরাস নিমূর্লে পূর্ণ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জিনপিং বলেন, চীনকে এ বছরের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে তীব্র লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, ‘চীনের ভয়াবহ মহামারী মোকাবেলায় জোর প্রচেষ্টা চালানো মানে শুধুমাত্র চীনা জনগণের জীবন ও স্বাস্থ্য রক্ষা এবং নিরাপত্তা বিধানই নয়, অধিকন্তু বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের জন্য চলমান এই ভয়াবহ হুমকি রোধেও অবদান রাখা।’
চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বাংলাদেশী জনগণের অত্যন্ত প্রিয় মানুষ হিজ অ্যাক্সেলেন্সি শেখ মুজিবুর রহমান চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চীনবাসী ‘মুজিব বর্ষ’ উদ্যাপনের অংশ নিতে ইচ্ছুক এবং আপনাদের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করছি।’