বাসস দেশ-১০ : ‘মা মাছ’ সুরক্ষায় বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির

135

বাসস দেশ-১০
সংসদীয় কমিটি – বৈঠক
‘মা মাছ’ সুরক্ষায় বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
ঢাকা, ১১ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি অপরিকল্পিতভাবে রেনু আহরণ ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণে এবং মা মাছ সুরক্ষায় বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে।
আজ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত এ কমিটির এক বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। দশম জাতীয় সংসদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির এটি ছিল ২৮তম বৈঠক।
কমিটির সভাপতি মীর শওকাত আলী বাদশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে কমিটির সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, শেখ আফিল উদ্দিন, এইচ, এম, ইব্রাহীম, মুহা. গোলাম মোস্তফা বিশ^াস, এ্যাড. মুহম্মাদ আলতাফ আলী এবং শামছুন নাহার বেগম (এডভোকেট) অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে প্লাবন ভূমিতে মৎস্য চাষ, কমিউিনিটি বেইসড ও ইন্টিগ্রেটেট খামার ব্যবস্থাপনা এবং গ্রীন রিভোলেশন বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
কমিটি প্লাবন ভূমিতে চাষযোগ্য দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা উৎপাদন এবং চাষাবাদ পদ্ধতি উদ্ভাবনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরে মৎস্য খাদ্য, বীজ, ভিটামিন ও ঔষধ আমদানিতে খামারীদের অনাপত্তিপত্র প্রাপ্তির সহজীকরণের বিষয়টি আগামী ২ সপ্তাহর মধ্যে কমিটির নিকট প্রেরণের সুপারিশ করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও অধিদপ্তরের বিগত পাঁচ বছরের কি কি অগ্রগতি হয়েছে তার একটি বিস্তারিত বিবরণ প্রতিবেদন আকারে কমিটির পরবর্তী বৈঠকে প্রেরণের জন্যও আজকের বৈঠকে সুপারিশ করা হয়।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক রেনু উৎপাদনকারী ও নান্দনিক সৌন্দর্য বিশিষ্ট হালদা নদীর পানির প্রবাহ অক্ষুন্ন রাখা, শিল্প ও কলকারখানার বর্জ্য সেচ কাজের জন্য নির্মিত বাধ সমূহ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) খুলে দেওয়া, অপরিকল্পিতভাবে রেনু আহরণ ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ করা এবং মা মাছ সুরক্ষার নিমিত্তে পানি সম্পদ ও কৃষি
মন্ত্রণালয়ের সাথে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা এবং বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে এ কমিটির আজকের বৈঠক থেকে সুপারিশ করা হয়।
সমগ্র বাংলাদেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য চাষ ও খামারের জন্য কি পরিমাণ জমি আছে এবং কি পরিমাণ জমি ব্যবহার হচ্ছে তার একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিটির নিকট প্রেরণের সুপারিশ করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৬২৫/এএএ