বাসস ক্রীড়া-১৫ : নিউল্যান্ডসে ফিরছেন স্মিথ ও ওয়ার্নার

161

বাসস ক্রীড়া-১৫
ক্রিকেট-দ.আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া-স্মিথ-ওয়ার্নার
নিউল্যান্ডসে ফিরছেন স্মিথ ও ওয়ার্নার
ক্যাপটাউন, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ (বাসস/এএফপি): ময়দানী ক্রিকেটের সবচেয়ে সমালোচিত ঘটনার কেন্দ্রে থাকা অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার বুধবার নিউল্যান্ডে ফিরছেন। ক্রিকেট বিশ্বে হৈচৈ পড়ে যাওয়া ওই ঘটনার দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তারা ফের সেখানে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছেন।
তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে নিউল্যান্ডসে কাল স্বাগতিক প্রোটিয়াদের মোকাবেলা করবেন সফরকারী অসিরা। যেখানে ব্যাপক দর্শক উপস্থিতি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ম্যাচ চলাকালে খেলোয়াড়দের যে কোন ধরেনের অপমানকর পরিস্থিতি থেকে মুক্ত রাখার জন্য সর্বাধিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
২০১৮ সালের ২৪ মার্চ তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে যখন ক্যামেরন বেনক্রফটের হলুদ শিরিষ কাগজ দিয়ে বল টেম্পারিংয়ের দৃশ্য টেলিভিশনের পর্দায় ভেসে উঠেছিল তখন অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক ও সহ অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন স্মিথ ও ওয়ার্নার।
ওই দিন বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে স্মিথ ও বেনক্রফট স্বীকার করেছিলেন যে তারা জেনেশুনেই বল টেম্পারিং করতে চেয়েছিলেন। তাৎক্ষনিকভাবে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠে। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলও ঘটনার নিন্দা জানান।
ঘটনার জেরে এক বছরের জন্য স্মিথ ও ওয়ার্নারকে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। আর ঘটনার নায়ক বেনক্রফটকে নিষিদ্ধ করা হয় নয় মাসের জন্য। শুধু তাই নয়, ওয়ার্নারকে আজীবনের জন্য দেশের অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। আর এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন স্মিথ।
শিরিষ কাগজ কেলেঙ্কারির আগেই ডারবানে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে প্রোটিয়া ক্রিকেটার কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে ওয়ার্নারের বাক বিতান্ডার ঘটনায় দর্শকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন ওয়ার্নার। টেম্পারিং কেলেঙ্কারির একদিন আগেও নিউল্যান্ডের দর্শকরা গালিগালাজ করেছিল ওয়ার্নারকে। এতে ক্ষোভ ঝড়ে পড়েছিল তৎকালীন অসি কোচ ড্যারেন লেহম্যানের কন্ঠে।
আনুমানিক দুই বছর পর স্মিথ ও ওয়ার্নার সিরিজের দুটি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন দর্শকে ঠাসা জোহানেসবার্গ ও পোর্ট এলিজাবেথ স্টেডিয়ামে। সেখানে অবশ্য কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ওয়ার্নার বলেন,‘ সেখানকার দর্শকদের কাছ থেকে যে সমর্থন পেয়েছি তাতে আমরা মুগ্ধ। পোর্ট এলিজবেথ ছিল অনন্য। তারা খুবই শ্রদ্ধাশীল। আমি তাদের কাছ থেকে কোন প্রতিবন্ধকতা পাইনি। শিশুরা অটোগ্রাফ নিতে মুখিয়ে ছিল। তাদের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিলনা। সেখানকার পরিবেশ ছিল চমৎকার।
আর কেপ টাউন হচ্ছে বিশ্বের মনোরম মাঠের মধ্যে একটি। মাঠটি সব সময় ভাল অবস্থায় থাকে। দলগত এবং ব্যক্তিগত ভাবেও এখানে আমাদের অনেক সফলতা আছে।’
এদিকে নিউল্যান্ড স্টেডিয়ামের ব্যবস্থাপক ক্লিফোর্ড ডজেন বলেছেন, সেখানে তিনি কোন সমস্যা দেখছেন না। যে কোন খেলোয়াড়ের সঙ্গে অসদাচরনের বিষয়ে সেখানে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অবলম্বন করা হবে। ডজেন বলেন,‘ আমরা সর্বাধিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। পুলিশ ও মেট্রো পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে ২০০ জন বেসরকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা। আমরা দর্শকদের মধ্যে সাদা পোষকাধারী নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করব, কেউ যদি অসদাচরণ করে তাকে তাৎক্ষনিকভাবে স্টেডিয়াম থেকে বের করে দেয়া হবে।’
বাসস/এএফপি/অনু/এমএইচসি/১৯০৫/স্বব