এবিএম মূসার ৮৯তম জন্মদিন ২৮ ফেব্রুয়ারি : কাল স্মারক বক্তৃতা

172

ঢাকা , ২৫ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ (বাসস) : প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলাম লেখক এবিএম মূসার ৮৯তম জন্মদিন আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ক্লাবের আজীবন সদস্য এবিএম মূসা ১৯৩১ সালে তার নানার বাড়ি ফেনী জেলার ধর্মপুর গ্রামে জন্ম নেন এবং ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এবিএম মূসার ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে এবিএম মূসা- সেতারা মূসা ফাউন্ডেশন আগামীকাল সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এবিএম মূসা- সেতারা মূসা স্মারক বক্তৃতা ও আজীবন সন্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ফটো সাংবাদিক এবং একুশে পদক প্রাপ্ত সাইদা খানম এ সন্মাননা পুরষ্কার পাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ ।
এবিএম মূসা দীর্ঘ ৬৪ বছর ধরে সাংবাদিকতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। ১৯৫০ সালে দৈনিক ইনসাফ থেকে তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু হয়। ঐ বছরই তিনি ইংরেজি দৈনিক পাকিস্তান অবজারভারে যোগ দেন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান অবজারভারে রিপোর্টার, স্পোর্টস রিপোর্টার ও বার্তা সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় তৎকালিন পাকিস্তান সরকার পাকিস্তান অবজারভার বন্ধ করে দিলে তিনি সংবাদে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালে তিনি অবজারভারে ফিরে আসেন। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় বিবিসি, সানডে টাইমস প্রভৃতি পত্রিকার সংবাদদাতা হিসাবে তিনি রণাঙ্গন থেকে সংবাদ প্রেরণ করতেন। স্বাধীনতার পর তিনি বিটিভির মহাব্যবস্থাপক, মর্নিং নিউজের সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৮ সালে এবিএম মূসা ব্যাংককে অবস্থিত জাতিসংঘের পরিবেশ কার্যক্রমের (এসকাপ) এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলে আঞ্চলিক পরিচালক পদে যোগ দেন। দেশে ফিরে এসে ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান সম্পাদক ছিলেন।
২০০৪ সালে তিনি কিছুদিন দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এবিএম মূসা জাতীয় প্রেস ক্লাবের চারবার সভাপতি এবং তিনবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।