বাসস ক্রীড়া-১১
ফুটবল-বিশ্বকাপ
ইউরো ২০১৬ ফাইনালের পরাজয়ের স্মৃতি এখনো ভুলতে পারেনি ফ্রান্স : দেশ্যম
সেন্ট পিটার্সবার্গ, ১১ জুলাই ২০১৮ (বাসস) : ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশ্যম স্বীকার করেছেন ইউরো ২০১৬’র ফাইনালের হারের দু:সহ স্মৃতি এখনো ভুলতে পারেনি ফ্রান্স। কিন্তু বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলতে পারলে এই পরিস্থিতি পাল্টে যাবে বলে বিশ্বাস দেশ্যমের। মঙ্গলবার বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে পরাজিত করে লেস ব্লুজরা বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করার পরে দেশ্যম এই কথাগুলো বলেন।
ঘরের মাঠে মাত্র দুই বছর আগে ফ্রান্স ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে খেলেছিল। কিন্তু পর্তুগালের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচটিতে অতিরিক্ত সময়ের গোলে হারের দু:সহ স্মৃতি নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। দেশ্যম স্বীকার করেছেন ঐ ফলাফল এখনো খেলোয়াড়দের মনে গেঁথে আছে। মঙ্গলবার সেমিফাইনালে জয়ের পরে ফ্রেঞ্চ কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা এখন আরেকটি ফাইনালে। দুই বছর আগে কি ঘটেছিল এখনো আমার মনে আছে। এবার আমরা ফাইনালে জয়ের জন্যই যাচ্ছি। ইউরোর ফাইনালটি এখনো আমরা কেউ ভুলতে পারিনি।’
সেন্ট পিটার্সবার্গে জয়সূচক গোলটি করেছেন স্যামুয়েল উমতিতি। ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক দেশ্যম তার তরুন দলটি নিয়ে দারুন উচ্ছসিত। তিনি বলেন, ‘এটা সত্যিই ব্যতিক্রম। আমি সত্যিকার অর্থেই খেলোয়াড়দের নিয়ে দারুন খুশী। তারা তরুন, কিন্তু তাদের মধ্যে জয়ের আকাঙ্খা আছে। প্রতিপক্ষ হিসেবে বেলজিয়াম বেশ কঠিন। এই ম্যাচে জয়ী হওয়ার সব কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের।’
২০১৬ সালের স্মৃতি উমতিতির মনেও হতাশার জন্ম দেয়। ম্যাচ শেষে তিনিও কোচের মতই বলেছেন, ‘আমরা ইউরোর ফাইনাল জিততে পারিনি। সে কারনেই বিশ্বকাপের জয়টা জরুরী। আশা করছি এবার সব পাল্টে যাবে। বিশ্বকাপ জয় করেই আমরা ঘরে ফিরবো।’
এখনো পর্যন্ত রাশিয়ায় গোল করতে না পারা তারকা স্ট্রাইকার অলিভার জিরুদ জানিয়েছেন ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার। ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক জিনেদিন জিদানের মত তিনি খেলার আশাা করেন। জিরুদ বলেন, ‘এটা আমার ছোটবেলার স্বপ্ন। পরিবার, বন্ধু ও ফ্রান্সের মানুষদের সাথে বিশ্বকাপের স্মৃতি ভাগাভাগি করাটা সত্যিই গর্বের বিষয়। আমাদের এই পথ মোটেই সহজ ছিলনা। কিন্তু আমরা পেরেছি। এখন আর মাত্র ৯০ মিনিটের একটি ম্যাচ বাকি। এই স্মৃতি সত্যিই ভোলার নয়। জিদানের কথা আমার মনে আছে, আশা করছি আমাদের সকলের সামনে যেন সেই একই সুযোগ আসে।
ফ্রান্সের অধিনায়ক ও গোলরক্ষক হুগো লোরিস বলেছেন, ফুটবল সত্যিই এক অসাধারন খেলা। কারন এর মাধ্যমে আমরা আমাদের সমর্থক ও ফ্রেঞ্চ মানুষদের আবেগী করে তুলতে পারি। আশা করছি রোববার শেষ উৎসবটাও আমরা উদযাপন করবো। কোচ যা বলেছে আমরা সেটাই করার চেষ্টা করেছি। ম্যাচের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছি। শেষ পর্যন্ত সেট পিস থেকে গোল পেয়েছি। দুই বছর আগে স্মৃতি আর পুনরাবৃত্তি করতে চাইনা।
বাসস/নীহা/১৪২০/স্বব
Home 0সকল সংবাদ বাসস ক্রীড়া বাসস ক্রীড়া-১১ : ইউরো ২০১৬ ফাইনালের পরাজয়ের স্মৃতি এখনো ভুলতে পারেনি ফ্রান্স...