বাসস দেশ-১৭
সায়মা হত্যা – মামলা
শিশু সায়মা হত্যা : যুক্তি উপস্থাপন ৫ মার্চ
ঢাকা, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : রাজধানীর ওয়ারীতে সাত বছরের শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আদালত আগামী ৫ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।
আজ রোববার ঢাকার ১নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান এ দিন ধার্য করেন। যুক্তি-উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায়ের দিন ধার্য করবেন বিচারক।
চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ঢাকার ১নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এর আগে গত বছরের (২০১৯ সালে) ৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ধর্ষক হারুন আর রশিদকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (নিরস্ত্র,ওয়ারী জোনাল টিম) মো. আরজুন।
ডিবি পুলিশ এ মামলার একমাত্র আসামি হারুন আর রশিদকে গত বছরের ৭ জুলাই তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার তিতাস থানার ডাবরডাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরের দিন ৮ জুলাই-২০১৯ হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি’র ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন হারুন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
২০১৯ সালের ৫ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিলভারডেল স্কুলের নার্সারী ক্লাসের ছাত্রী শিশু সায়মার মৃতদেহ তার পরিবারের সদস্যরা ওয়ারী এলাকার নবনির্মিত একটি ভবনের নবম তলার খালি ফ্ল্যাটের ভেতর দেখতে পায়। পরে খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার পরের দিন সায়মার বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওই ভবনের ছয়তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকত সায়মা। বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরের একজন ব্যবসায়ী। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিল সায়মা।
পুলিশ সায়মার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ডিএমসিএইচ) ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ জানান প্রথমিকভাবে সায়মার শরীরে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। ধর্ষণের পর তাকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তার (সায়মা) মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, শিশু সায়মার যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন, মুখে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন এবং ঠোঁটে ছিল কামড়ের দাগ।
বাসস/আদালত প্রতিবেদক/জেডআরএম/১৭৫১/জেহক