বাসস ক্রীড়া-৫ : ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার মিশন অস্ট্রেলিয়ার; জয়ের সন্ধানে দক্ষিণ আফ্রিকা

115

বাসস ক্রীড়া-৫
ক্রিকেট-টি-২০
ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার মিশন অস্ট্রেলিয়ার; জয়ের সন্ধানে দক্ষিণ আফ্রিকা
জোহানেসবার্গ, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ (বাসস) : নিজেদের সর্বশেষ তিনটি টি-২০ সিরিজই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। অন্য দিকে চলতি সপ্তাহে দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের কাছেই টি-২০ সিরিজ হারে দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন চিত্র নিয়ে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছে দু’দল। টি-২০ সিরিজ জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চায় অস্ট্রেলিয়া। আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের সন্ধানে নামছে প্রোটিয়ারা। আগামীকাল জোহানেসবার্গে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হবে সিরিজের প্রথম টি-২০।
২০১৮ সালের নভেম্বরে দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এক ম্যাচের সিরিজ হেরেছিলো অস্ট্রেলিয়া। এরপর চারটি টি-২০ সিরিজ খেলে তিনটিতে জয় পায় অসিরা। একটি সিরিজ হয় ড্র। ভারতের মাটিতে ২ ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে, দেশের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজে শ্রীলংকাকে হোয়াইটওয়াশ ও পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে হারায় অস্ট্রেলিয়া। তাই টানা তিন সিরিজ জয়ের স্বাদ রয়েছে অসিদের। তবে চলতি বছর এখনো কোন টি-২০ সিরিজ খেলেনি অস্ট্রেলিয়া।
চলতি বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই প্রথম টি-২০ সিরিজ খেলতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২-১ ব্যবধানে টি-২০ সিরিজটি হারে প্রোটিয়ারা। তার আগে সর্বশেষ পাঁচ সিরিজের চারটিতেই জয় পেয়েছিলো প্রোটিয়ারা। সেগুলো ২০১৮ ও ২০১৯ সালে।
তবে চলতি বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় টি-২০ বিশ্বকাপের আগে সংক্ষিপ্ত ভার্সনের ম্যাচগুলো দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রত্যকটি দলই নিজেদের ভালোভাবে ঝালিয়ে নিচ্ছে। যে কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন আনে দক্ষিণ আফ্রিকা। মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান তেম্বা বাভুমাকে ইনিংসের শুরুতে পাঠায় প্রোটিয়ারা। তাতে সুফলও মিলে। তিন ইনিংসে ১২৩ রান করেন বাভুমা। অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম বাভুমাকে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনজুরির কারনে সিরিজের প্রথম ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েছেন বাভুমা। তবে সিরিজের পরের দু’টি ম্যাচে তার খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ সিরিজ দিয়ে আবারো দলে ফিরছেন সাবেক অধিনায়ক ফাফ ডু-প্লেসিস। সদ্যই টেস্ট ও টি-২০ দলের নেতৃত্ব ছেড়েছেন তিনি। এছাড়া দলে ফিরেছেন দুই পেসার কাগিসো রাবাদা ও এনরিখ নর্টি।
দলের মারকুটে ব্যাটসম্যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ছাড়াই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আসতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। দলে থাকলেও, সফর শুরুর আগ মূর্হুতে কুনইর ইনজুরিতে পড়েন ম্যাক্সওয়েল।
তবে দলে যারা আছেন, তাদের নিয়েই সিরিজ জয়ের লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের, ‘ম্যাক্সওয়েলের বাদ পড়াটা দুঃখজনক। মিডল-অর্ডারে দারুন কার্যকরী ব্যাটসম্যান সে। তবে তার জায়গায় যে সুযোগ পাবে তাকে সামর্থ্য প্রমান করতে হবে। তারপরও আমাদের প্রধান লক্ষ্য সিরিজ জয়। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে শেষ দু’টিই সিরিজই আমরা জিতেছি। তাই এখানে ভালো করার যথেষ্ট সুযোগ আমাদের রয়েছে। এজন্য তিন বিভাগেই আমাদের ভালো করতে হবে।’
অন্য দিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারলেও, অনেক ইতিবাচক অর্জন ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার। এছাড়া ছোট-ছোট ভুল শুধরে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য প্রোটিয়াদের। দলের অধিনায়ক কুইন্ট ডি কক বলেন, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ থেকে আমরা অনেক কিছু পেয়েছি। আমাদের কিছু ভুলও ছিলো। তবে সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করেছি। আশা করছি, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবো আমরা। সববিভাগে ভালো করতে পারলে সিরিজ জয় করা অসম্ভব কিছু নয়। ডু-প্লেসিস, রাবাদা দলে ফিরেছেন। এতে আমরা আরও অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছি। তাই সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদি।’
টি-২০ ক্রিকেটে এ পর্যন্ত ১৮বার মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। এরমধ্যে ১১বার অসিরা ও ৭বার জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল: কুইন্টন ডি কক (অধিনায়ক), তেম্বা বাভুমা, ফাফ ডু-প্লেসিস, বিয়র্ন ফর্টুইন, হেনরিচ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, লুঙ্গি এনগিডি, এনরিখ নর্টি, আন্দিল ফেলুকুয়াও, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, কাগিসো রাবাদা, তাবরিজ শামসি, জন জন স্মুটস, ডেল স্টেইন, পিট ভ্যান বিলিয়ন ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেন।
অস্ট্রেলিয়া দল : অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), প্যাট কামিন্স, সিন অ্যাবট, অ্যাস্টন আগার, অ্যালেক্স ক্যারি, মিচেল মার্শ, জেই রিচার্ডসন, কেন রিচার্ডসন, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, ম্যাথু ওয়েড, ডেভিড ওয়ার্নার ও এডাম জাম্পা।
বাসস/এএমটি/১৭৩৫/স্বব