বাসস ক্রীড়া-২ : ঘরের মাঠে লিপজিগের কাছে হারতে হলো টটেনহ্যামকে

119

বাসস ক্রীড়া-২
ফুটবল-চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
ঘরের মাঠে লিপজিগের কাছে হারতে হলো টটেনহ্যামকে
লন্ডন, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ (বাসস) : লন্ডনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬’র প্রথম লেগের ম্যাচে আরবি লিপজিগের কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পার। আর এর ফলে আরো একবার কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই গতবারের রানার্স-আপদের বিদায়ের একটি আভাস কিছুটা হলেও পাওয়া যাচ্ছে। পেনাল্টি থেকে লিপজিগের হয়ে ৫৮ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেছেন টিমো ওয়ার্নার।
স্পার্স অধিনায়ক হুগো লোরিস বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ রুখে দিয়ে স্বাগতিকদের রক্ষা করেছেন। কিন্তু আগামী ১০ মার্চ ফিরতি পর্বে জার্মানীতে নিজেদের প্রমান করতে হলে হোসে মরিনহোর দলকে নি:সন্দেহে কঠিন লড়াই অতিক্রম করতে হবে।
ইনজুরি আক্রান্ত হ্যারি কেন ও সন হেয়াং-মিনের অনুপস্থিতিতে টটেনহ্যাম অবশ্য এমনিতেই মানসিক ভাবে কিছুটা বিচলিত ছিল। তারপরেও আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার গিওভানি লো সেলসোর ফ্রি-কিক পোস্টে লাগাটা ছিল কালকের ম্যাচে টটেনহ্যামের জন্য সবচেয়ে বড় দূর্ভাগ্যের মুহূর্ত।
গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটি ও আয়াক্সকে নক আউট পর্বে বিদায় করে দিয়ে সব বাঁধা পেরিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল টটেনহ্যাম। কিন্তু গতকাল বুন্দেসলিগার প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কোথায় যেন স্পার্সদের মধ্যে পরিকল্পনা ও সাহসিকতার অভাব লক্ষ্য করা গেছে। ম্যাচের ঠিক আগেই ডান কনুইয়ের হাড়ে চিড় ধরায় পুরো মৌসুম সন এর মাঠের বাইরে চলে যাবার দু:সংবাদটিও স্পার্সদের মুষড়ে দিয়েছিল। মৌসুমের বাকি সময়টা নিয়ে ইতোমধ্যেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মরিনহো।
প্রথম থেকেই লিপজিগের দুর্দান্ত পাস ও বল নিয়ন্ত্রনের কাছে স্বাগতিকদের কিছুটা হলেও অসহায় মনে হচ্ছিল। প্যাট্রিক শিকের শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়, ওয়ার্নারের শট রক্ষনভাগে আটকে যায়, এ্যাঞ্জেলিনোর শট লোরিস আটকে দেন। পোস্টের খুব কাছে থেকে ওয়ার্নারকে হতাশ করেন লোরিস। তা নাহলে তখনই হয়ত ওয়ার্নার মৌসুমের ২৫তম গোল পেয়ে যেতেন। শীতকালীণ ট্রান্সফার উইন্ডোতে দলে ভেড়ানো ডাচ উইঙ্গার স্টিভেন বার্জউইন টটেনহ্যামের হয়ে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নিজেকে প্রমান করেছেন। কালও তার ব্যতিক্রম ছিল না। কালকের ম্যাচে প্রথম তার শটেই স্পার্সরা গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। তবে তার লো শট লিপজিগ গোলরক্ষক পিটার গুলাসি রুখে দেন।
এবারের মৌসুমে জার্মান শিরোপা জয়ে বায়ার্ন মিউনিখের সাথে সমান তালে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে লিপজিগ। মাত্র এক পয়েন্টের ব্যবধানে তারা বুন্দেসলিগা টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বে প্রথমবারের মত খেলতে এসে লিপজিগ যেন শুরু থেকেই নিজেদের প্রমানে ব্যস্ত ছিল। প্রথমার্ধের সবচেয়ে সেরা সুযোগটি ওয়ার্নার আরো একবার লোরিসের কারনে নষ্ট করেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লুকাস মৌরা ও বার্জউইনির শট দারুন দক্ষতা আটকে দেন গুলাসি। যদিও সাম্প্রতিক সময় ম্যানচেস্টার সিটি, সাউদাম্পটন, নরউইচ ও এ্যাস্টন ভিলাকে হারিয়ে ছন্দে তাকা টটেনহ্যামের ভাগ্য যেন কাল সহায় ছিল না। ডি বক্সের মধ্যে কোনার্ড লেইমারকে ফাউলের অপরাধে বেন ডেভিসের বিপক্ষে প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে ওয়ার্নার ৫৮ মিনিটে যে গোলটি করেছিলেন তাতেই লিপজিগের জয় নিশ্চিত হয়।
বাসস/নীহা/১৫৩০/স্বব