বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ : মুক্তবুদ্ধি চর্চার জন্য দেশে এখন সুন্দর পরিবেশ বিরাজমান : প্রধানমন্ত্রী

444

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪
একুশে পদক-বাণী
মুক্তবুদ্ধি চর্চার জন্য দেশে এখন সুন্দর পরিবেশ বিরাজমান : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, স্বাধীন মত প্রকাশ এবং শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার জন্য বর্তমানে দেশে অত্যন্ত সুন্দর ও আন্তরিক পরিবেশ বিরাজ করছে।
‘একুশে পদক ২০২০’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহান একুশের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়ন বিস্ময়। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলনে আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই মন ও মননের প্রকাশ এবং সুচিন্তন কর্মকে সাধুবাদ জানিয়ে সকল সহযোগিতা করে থাকে।”
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনের মাস, বাঙালির প্রাণের ভাষা-বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার মাস। দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরপরই পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালির মাতৃভাষা বাংলাকে উপেক্ষা করে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা করার ষড়যন্ত্র শুরু করে।
শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা অর্জনের আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদের রক্তের অক্ষরে লেখা হয় ‘আমার মাতৃভাষায় কথা বলতে চাই’।
তিনি বলেন, “এই ভাষার মাসে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে আত্মাহুতিদানকারী বীর শহিদ রফিক, শফিক, জব্বার, বরকত, শফিউদ্দীন, সালামসহ ভাষা শহিদদের। শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা সৈনিকদের।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশ আমাদের অমিত প্রেরণার উৎস। একুশ মানেই মাথা নত না করা, একুশ মানেই একাত্তরের দিকে অনন্ত অভিযাত্রা, ভাষাভিত্তিক-ধর্মনিরপেক্ষ-গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠা। একুশের চেতনায় মুক্তিযুদ্ধসহ সকল আন্দোলন-সংগ্রামে এগিয়ে গিয়ে বিজয়ী হয়েছি। তিনি বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক প্রাঙ্গণে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন শুধু বাঙালিকে নয়, সমগ্র মানবজাতিকে মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে থাকে। আমরা বিশ্বের সকল ভাষা সংক্রান্ত গবেষণা ও ভাষা সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলনে আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে।”
তিনি একুশে পদক ২০২০ প্রাপ্তদের আন্তরিক অভিবাদন জানিয়ে পদকপ্রাপ্তদের স্ব স্ব অবস্থানে থেকে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য নিবেদিত চিত্তে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “আমি প্রত্যাশা করি, আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।”
বাসস/তবি/এমএসএইচ/২০২৮/কেএমকে