তানজিদ প্রমান করলো, প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল সঠিক

312

ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ (বাসস) : কিছুদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করে বাংলাদেশ দল। দেশে ফিরে বীরের মত সংবর্ধ্বনা দেয়া হয় তাদের। এমন আনন্দ মুখর পরিবেশে, এসব খেলোয়াড়দের কিভাবে তৈরি করা যায় তা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
তানজিদ হাসান তামিমকে দেখার পর তাকে নিয়ে বেশ উচ্ছসিত ছিলেন তিনি।
তাকে নিয়ে এতটাই উচ্ছসিত ছিলেন যে, নান্নু বলেছিলেন তানজিদ এখনই জাতীয় দলের খেলার সুযোগ পাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) নান্নু বলেন, ‘দুর্দান্ত পারফরমেন্সের কারণে তাদের স্বাগত জানানো হয়েছিলো এবং তারা প্রশংসিত হয়েছিলো। কিন্তু আমি তাদের মাটিতে পা রাখার পরামর্শ দিয়েছি।’
‘প্রত্যকটি খেলোয়াড়ই প্রতিভাবান। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তৈরি হতে তাদের আরও সময় প্রয়োজন। যদি আমাকে জিজ্ঞাস করা হয়, কোন খেলোয়াড় এই মূর্হুতে জাতীয় দলে সুযোগ পেতে পারে তবে আমি একটি নামই বলবো- তানজিদ হাসান তামিম। সে পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত।’
ইান্নুর বিশেষজ্ঞ চোখ ভুল ছিলো না। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের পর প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে যখন তার সতীর্থরা ব্যর্থ, তখন ব্যতিক্রম ছিলেন তানজিদ।
তামিম অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ও বিকেএসপিতে তার স্বাভাবিক খেলা প্রদর্শন করেছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিসিবি একাদশের হয়ে নিজেদের সেরাটা দিয়ে তানজিদ প্রমান করেছেন, নান্নু সঠিক ছিলেন।
জিম্বাবুয়ের ২৯১ রানের জবাবে ৬৯ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বিসিবি একাদশ। এরপর অধিনায়ক আল-আমিনের সাথে ২১৯ রানের জুটি গড়ে তুলেন তানজিদ। ৯৯ বলে ১৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১২৫ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। ১৪৫ বলে ১৬টি চারে অপরাজিত ১০০ রান করেন আল-আমিন।
কঠিন পরিস্থিতিতে জিম্বাবুয়ের বোলারদের মোকাবেলা করতে ক্রিজে গিয়েছিলেন তানজিদ। ঐসময় ক্রিজে সেট হওয়া জরুরি ছিলো তার। তার ওমন ইনিংসের পর এটি প্রমান করে, তাকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে সে অনুপ্রাণিত হবে।