পাঠাও চালককে হত্যায় জড়িত তিন ছিনতাইকারী আটক

252

ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস): এ্যাপস ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং পাঠাও চালক মো: শামীম বেপারী ওরফে বাবু (২৮) নামে এ ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের তিন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব।
র‌্যাব জানায়, আজ ভোর সাড়ে ৬টার দিকে র‌্যাব-১ উত্তরার একটি দল রাজধানীর আশুলিয়ার কাঠগড়া পালোয়ান পাড়া থেকে তাদের আটক করেছে। তারা হচ্ছে-মো: মামুনুর রশিদ (২২), মো: মাহবুবুর রহমান (২০) ও মো: মোমিন মিয়া (২০)।
এসময় র‌্যাব সদস্যরা তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডের শিকার ব্যক্তির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং হত্যাকারীর রক্তমাখা প্যান্টসহ ৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা পাঠাও রাইড চালক মো: শামীম বেপারী ওরফে বাবু (২৮)হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
এ ব্যাপারে আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১) এর কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-১ এর কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) লেফটেন্ট্যান্ট কর্ণেল শাফী উল্লাহ বুলবুল বলেন, গত ১৩  ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার আশুলিয়া থানাধীন কাঠগড়া পালোয়ান পাড়াস্থ মোল্লা বাড়ির বাঁশ ঝাড়ের ভেতর মো: শামীম বেপারী বাবু (২৮) নামে এক পাঠাও রাইড চালককে অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে এবং তার মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। এই চাঞ্জল্যকর হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত বাবুর বাবা মো: শাহিন বেপারী (৫৮) বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এলিট ফোর্স র‌্যাব কাউকে ছাড় দিচেছনা। অপরাধ করে কেউ ছাড় পাবেনা। যেই অপরাধ করবে তাকে সেই অপরাধের শান্তি পেতেই হবে।
আটককৃতরা দীর্ঘ দিন ধরে অপরাধকর্মকান্ড করে আসলেও এর আগে এই অপরাধ চক্রের সদস্যরা কখনও ধরা পড়েনি।
শাফী উলøাহ বুলবুল বলেন, নিহত শামীম রাজশাহী জেলার বাঘা থানাধীন চৌমুধিয়া গ্রামের মো: শাহিন বেপারীর একমাত্র পুত্র সন্তান। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে বাকি চার বোন তার বড়। সে খিলগাঁও থানাধীন মেরাদিয়া মধ্যপাড়ায় তার স্ত্রীসহ বসবাস করতো। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে সে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে কাজ করেছিল। পরবর্তীতে সে নিজে একটি মোটরসাইকেল ক্রয় করে এ্যাপস ভিত্তিক পাঠাও এর মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন করতো।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর রামপুরাস্থ ফরাজি হাসপাতালের সামনে থেকে একজন যাত্রী নিয়ে মোহাম্মদপুর এলাকায় যাওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেল নিয়ে পাঠাও চালক শামীম তার বাসা থেকে বের হয়। এরপর সে গভীর রাত পর্যন্ত বাসায় ফিরে না আসায় তার পরিবারের সদস্যরা মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি নিহতের পরিবার গণমাধ্যমে হত্যার বিষয়টি জানতে পারেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ সনাক্ত করে স্বজনরা।