ভাইরাস আতঙ্কে দুই সপ্তাহ বিচ্ছিন্ন থাকা জাহাজের যাত্রীরা তীরে

246

সিহানৌকভিল, কম্বোডিয়া, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস ডেস্ক) : করোনা ভাইরাস বয়ে আনার আশঙ্কায় যে জাহাজটিকে এশিয়ার বিভিন্ন বন্দর থেকে ফেরত পাঠান হয়েছিল সেটি অবশেষে কম্বোডিয়ায় তীরে ভিঁড়েছে, নেমেছে যাত্রীরা।
দুই সপ্তাহ যাবত জাহাজে অনিশ্চিতভাবে সমুদ্রে ঘুরে ফিরে তীরে আসা প্রায় ১০০ পর্যটককে স্বাগত জানান কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন। খবর এএফপি’র।
পূর্ব এশিয় সমুদ্রে ১৪ দিন ধরে থাকা জাহাজটির যাত্রী ও ক্রু নিয়ে ২,২৫৭ জন আরোহিকে ওয়েস্টার্ডাম রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাহাজটি ১ ফেব্রুয়ারি হং কং থেকে যাত্রা শুরু করে শনিবার জাপানের ওকোহামায় যাত্রা শেষ করার কথা থাকে।
তবে জাহাজটিতে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কেউ থাকার আশঙ্কায় জাপান, গুয়াম, ফিলিপাইনস, তাইওয়ান ও থাইল্যান্ড থেকে সেটিকে ফেরত পাঠানো হয়। বর্তমানে প্রায় ১৫,০০ মানুষ এই ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে এবং ৬৫,০০০ মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত, যাদের অধিকাংশই চীনের নাগরিক।
চীন থেকে প্রতি বছর বিপূল অর্থ গ্রহণ করে কম্বোডিয়া। বেইজিং-এর সহযোগিতায় জাহাজটি সিহানৌকভিলে ভিঁড়তে পারবে বলে চলতি সপ্তাহে ঘোষণা দেয়।
হুন সেন শুক্রবার পর্যটকদের স্বাগত জানাতে গিয়ে বলেন, ‘কম্বোডিয়া মানবাধিকারের ব্যাপারে আরো বেশি মনোযোগী হওয়ার লক্ষ্যে এ কাজ করেছে। আমরা নৌযানে ২,০০০-এরও বেশি যাত্রীর মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
তিনি বলেন,‘আমাদের একটি ধনী দেশের মতো সম্পদ না থাকলেও, জাহাজে আরোহণ করা যাত্রীদের প্রতি সহানুভূতি রয়েছে।’
প্রথম ১০০লোককে হল্যান্ড আমেরিকা পরিচালিত ক্রুজে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাদের জেসমিনের মালা ও কম্বোডিয়ার ঐতিহ্যবাহী উত্তরীয় পরানো হয়।
বাকিদেরও হর্স্বোৎফুল্ল হয়ে ওয়েস্টার্ডামে জাহাজ থেকে নামতে দেখা যায়। হুন সেন বলেন, বাইরে থেকে কোনো ভাইরাস বহন করে না আনার কথা নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা তাদের তীরে ভেড়ানোয় সম্মতি দিয়েছি।