বাসস দেশ-১৫ : ট্রান্স ফ্যাট নেতিবাচক স্বাস্থ্যের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতার উপর শিল্পমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

113

বাসস দেশ-১৫
ট্রান্স-ফ্যাট-স্বাস্থ্য
ট্রান্স ফ্যাট নেতিবাচক স্বাস্থ্যের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতার উপর শিল্পমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
অকাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ (বাসস) : শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন স্বাস্থ্যের ওপর ট্রান্স ফ্যাটের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ট্রান্স ফ্যাট হল এক ধরণের অসম্পৃক্ত চর্বি যা আমরা প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে খাই। অসম্পৃক্ত চর্বি বা ট্রান্স ফ্যাট আমাদের দেহের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং উপকারী কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। এটি রক্তচাপ এবং ইনসুলিনের নিঃসরণকে বৃদ্ধি করে। এর ফলে স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এটি মৃত্যুর কারণও হতে পারে।’
মন্ত্রী আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাট, হৃদরোগ ঝুঁকি এবং করণীয় : ভোক্তা পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) সম্মিলিতভাবে আলোচনা সভায় আয়োজন করে।
নুরুল মজিদ হুমায়ুন বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর হৃদরোগে প্রায় ৩ লাখ মানুষ মারা যায় যা উদ্বেগজনক।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) ২০২৩ সালের মধ্যে শিল্পজাত খাদ্য পণ্যে মোট ফ্যাটের সর্বাধিক পরিমাণের ২ শতাংশের মধ্যে ট্রান্স ফ্যাট সীমাবদ্ধ করার এবং খাদ্য আইটেম হিসাবে আংশিক হাইড্রোজেনেটেড তেল (পিএইচও) উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে।
হুমায়ুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে একটি শিল্প-সমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের দেশ গড়ার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের মেধাবী ও সুস্থ মানুষ দরকার। ডায়েটে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ হ্রাস করে লক্ষ্য অর্জন করা যায়।’
তিনি বলেন, ‘সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের জন্যও কাজ করছে। এসডিজির লক্ষ্য-৩ হল সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতা নিশ্চিত করা। এই ক্ষেত্রে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ননকমিউনিক্যাবল রোগজনিত মৃত্যু এক তৃতীয়াংশ হ্রাস করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এটি অর্জনে আমাদের স্বাস্থ্যকর ও সুদৃঢ় জনশক্তিও প্রয়োজন।’
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে সিএবির চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুল মালিক এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া ও প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/অনুবাদ/এমএসএইচ/১৮৫০/আরজি