ফায়ার ফাইটিং যন্ত্রপাতি দেশেই তৈরী করতে হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

351

ঢাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ফায়ার ফাইটিং যন্ত্রপাতি দেশে তৈরী করার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক সেফটি এন্ড সিকিউরিটি এসোসিয়েমন অফ বাংলাদেশ (ইএসএসএবি) আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী ৭ম ইন্টারন্যাশনাল সেফটি এন্ড সিকিউরিটি এক্সপো-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পের জন্য ফায়ার সেফটি এন্ড সিকিউরিটি নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। এ সেক্টরের অনেক যন্ত্রপাতি এখনো আমরা আমদানি করছি। আমাদের সুযোগ ও দক্ষতা আছে এ ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরী করার। তাই ফায়ার ফাইটিং যন্ত্রপাতি দেশেই তৈরী করতে হবে। নিজেরাই এ যন্ত্রপাতি তৈরী করলে আমাদের আর আমদানি নির্ভর থাকতে হবে না, একই সাথে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।’
উল্লেখ্য, এবারের এক্সপোতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মান, ইতালি, তাইওয়ান, তুরষ্কসহ ২৫টি দেশের ফায়ার সেফটি এন্ড সিকিউরিটি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য ৭৫টি স্টলে প্রদর্শিত হচ্ছে। রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে কোন ফি ছাড়াই এক্সপোতে প্রবেশ করা যাবে। এক্সপো চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
ইলেক্ট্রনিক সেফটি এন্ড সিকিউরিটি এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট মো. মোতাহার হোসান খান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লেফ. কর্নেল এস এম জুলফিকার রহমান, এফবিসিসিআই-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনতাকিম আশরাফ, বিজিএমইএ-এর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহা. আব্দুস সালাম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন, এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহা. মাহমুদ এবং এক্সপোর আহবায়ক জাকির উদ্দিন আহমেদ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই আমরা এখন স্বনির্ভর। তৈরী পোশাক শিল্পে আমরা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছি। অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, তৈরী পোশাক শিল্পে দেশে অভাবনীয় সফলতা এসেছে। রপ্তানির সিংহ ভাগ আসে তৈরী পোশাক খাত থেকে। বিশ্বর সেরা ১০টি গ্রীন ফ্যাক্টরির মধ্যে বাংলাদেরই সাতটি। এগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইলেক্ট্রনিক সেফটি এন্ড সিকিউরিটি একান্ত প্রয়োজন। একসময় এগুলোর ডিজাইন বিদেশ থেকে এক্সপার্ট নিয়ে এসে বিপুল অর্থ ব্যয় করে করতে হতো। এখন দেশের এক্সপার্টরাই তা করছেন। আমাদের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। তিনি বলেন, ১৯৫২ সালে যারা জীবন দিয়ে আমাদের মায়ের ভাষা রক্ষা করেছেন, তারই পথ ধরে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তারা চায়নি সোনার বাংলা হোক। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জয়বাংলা শ্লোগান বদল করে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ করেছিল, বাংলাদেশ বেতারের নাম বদল করে রেডিও বাংলাদেশ করেছিল। এতেই তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়ে যায়। ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু আজ নেই, আমরা তাঁর উদ্দেশ্য ও আদর্শ বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।