সেন্টমার্টিনে ট্রলার ডুবিতে প্রাণহানির ঘটনায় ১৯ পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা

297

কক্সবাজার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : বঙ্গোপসাগরে সেন্টমার্টিন উপকূলের অদূরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলার ডুবিতে ১৫ জনের প্রাণহানির ঘটনায় ১৯ মানব পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার সকালে টেকনাফ মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন টেকনাফে কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার এস এম ইসলাম।
মামলায় টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীয়া পাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ আলমকে (২৮) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন, টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়ার মো: আজিজ (৩০), একই এলাকার ফয়েজ আহাম্মদ (৫০), মো: করিম (৪৯), জুম্মা পাড়ার সাদ্দাম হোসেন (২০), একই এলাকার মো: রফিক (২৬), আব্দুস সালাম (৩০), সাইফুল ইসলাম (২৫), কোনার পাড়ার মো: হোছন (৪৫), কচছপিয়া এলাকার মো: আয়ুব (৩৫), জাফর আলম (৩৫), আব্দুর রহিম (২৫), বাঘগোনা এলাকার নুরুল ইসলাম (৪০), ফিসভাঙ্গা এলাকার সৈয়দুল হক (৩০), টেকনাফ সদরের মিঠাপানির ছড়ার ইউনুচ ওরফে ইউনুচ মাঝি (৪০), হাবির ছড়ার মো: সালাম (৪৫), রাজার ছড়ার হুমায়ুন কবির (২০), উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ডি ব্লকের মো: ওসমান (৩০), সাবরাং ইউনিয়নের পানছড়ি পাড়া এলাকার আব্দুল গফুর ওরফে ইসমাইল (৩০)।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন, ‘সাগরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলার ডুবিতে প্রাণহানির ঘটনায় কোস্ট গার্ড বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। এই মামলায় ৮ জন আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে
কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তারা হচ্ছে, টেকনাফ উপজেলার নোয়াখালী পাড়ার ট্রলার মাঝি ফয়েজ আহম্মদ (৪৮) একই গ্রামের হুমায়ুন কবির (২০), মোহাম্মদ আজিজ (৩০), মোহাম্মদ করিম (৪৯), সৈয়দ আলম (২৭), বালুখালীর ওসমান (১৭), জুম্মা পাড়ার সাদ্দাম হোসেন (২০) একই এলাকার মোহাম্মদ রফিক (২৬)।
সাগরপথে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে যাত্রীবাহি একটি ট্রলার মঙ্গলবার সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি ডুবে গেলে ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটে।
এসময় ৭২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তাদের থানায় সোর্পদ করে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা করে কোস্ট গার্ড।
এতে ১৯ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি এবং আরও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামি করা হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘মালয়েশিয়াগামী ট্রলার ডুবির ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। এই মামলায় আটক ৮ জন মানব পাচারকারিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মানব পাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে আরও ব্যাপক তথ্যর জন্য আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
এদিকে কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগর থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ নামে আরো এক যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে।
পরে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর আগে ৭২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল। তিনি জানান, জাহাজ, হেলিকপ্টার, স্পীড বোট ও ট্রলার নিয়ে নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।