বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ : সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ বেতার আরো ভূমিকা পালন করবে : প্রধানমন্ত্রী

139

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪
শেখ হাসিনা-বেতার ভূমিকা
সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ বেতার আরো ভূমিকা পালন করবে : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ( বাসস ) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার আজন্ম লালিত স্বপ্ন সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ বেতার আরো দায়িত্বশীল ও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
আগামী কাল ‘বিশ্ব বেতার দিবস’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন ‘আমি আশা করি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জাতির পিতার আজন্ম লালিত স্বপ্ন সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ বেতার আরো দায়িত্বশীল ও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
বাংলাদেশ বেতারের উদ্যোগে ‘রেডিও এন্ড ডাইবারসিটি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিবারের মতো এ বছরও ‘বিশ্ব বেতার দিবস-২০২০’ পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের শ্রোতা ও সম্প্রচার কর্মীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে এবং সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বেতারের ভূমিকা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ বেতার দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে প্রজন্মান্তরের সেতুবন্ধন রচনায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ‘আমরা ইতোমধ্যে ‘তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ এবং ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪’ প্রণয়ন করেছি। গণমাধ্যমের বিকাশ অব্যাহত রাখতে অনেকগুলি বেসরকারি টেলিভিশন, এফএম রেডিও এবং কমিউনিটি রেডিও স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছি। দেশের গণমাধ্যম এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে বেতার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর ও সহজলভ্য গণমাধ্যম। ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বেতার যাত্রার সূচনালগ্ন ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
দেশের মানুষের অধিকার আদায় ও মুক্তি সংগ্রামের অন্যতম সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ বেতারের ভূমিকা অনস্বীকার্য উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ অনন্য সাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ বেতার পেয়েছে ‘স্বাধীনতা পদক’ পুরস্কার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে বেতারের উপযোগিতা অনেক।
তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা বিস্তার, কৃষি উন্নয়ন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাসসহ সার্বিক উন্নয়নে বেতারের ভূমিকা অনস্বীকার্য।’ এছাড়াও নানারকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ-দুর্বিপাকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এখনও বেতারের ওপরই নিভর্রশীল।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ২৬-এ মার্চ ২০২১ সময়কে আমরা ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছি। গোটা বাঙালি জাতির পাশাপাশি ইউনেস্কোর উদ্যোগেও বিশ্বব্যাপী পালিত হবে মুজিববর্ষ। বাংলাদেশ বেতার বর্ষব্যাপী নানা আয়োজনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব বেতার দিবস-২০২০ এর সার্বিক সাফল্য কমনা করেন।
বাসস/তবি/কেসি/১৯১৫/-আসাচৌ