বাসস দেশ-১৪ : স্বাস্থ্যখাতে চলতি বছরই ৩০ হাজার লোকবল নিয়োগ করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

119

বাসস দেশ-১৪
স্বাস্থ্যমন্ত্রী-ডিআরইউ
স্বাস্থ্যখাতে চলতি বছরই ৩০ হাজার লোকবল নিয়োগ করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, “এ বছরই ৩০ হাজার লোকবল নিয়োগ দেয়া হবে স্বাস্থ্যখাতে। মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা থাকায় এতদিন প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু গতকাল হাইকোর্টের একটি রায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে আসায় এ বছরই প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল নিয়োগের সব ধরণের উদ্যোগ নেয়া হবে।”
বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) “ডিআরইউ সদস্য ও তাদের পরিবারের জন্য হেলথ ক্যাম্প”-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দেশের স্বাস্থ্য সেবাকে উন্নত ও আধুনিক করতে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “দেশের হাসপাতালগুলোতে শয্যাসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে ও যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে। কিন্তু যাদের মাধ্যমে সেবাগুলি মানুষ পাবে সেই সংখ্যক লোকবল হাসপাতালে বৃদ্ধি পায়নি। স্বাস্থ্যসেবাকে উন্নত ও সহজলভ্য করতে শুধু স্বাস্থ্যসেবা খাতেই অন্তত এক লাখ চিকিৎসক, নার্স, মিডওয়াইফারি, ফার্মাসিস্টসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য লোকবল প্রয়োজন।”
অনুষ্ঠানে সংবাদ কর্মীদের নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবগত করা হলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “মিডিয়া কর্মীদের দিনভর নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। এতে রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে বেশি। এ কারণে ডিআরইউ সেন্টারে প্রয়োজনীয় জায়গা পেলে একটি সার্বক্ষণিক চিকিৎসা ব্যবস্থা হেলথ কর্ণার ব্যবস্থা করার সব ধরনের সহায়তা করা হবে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বক্তৃতায় দেশে কোন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী নেই এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন।
পাশাপাশি, মন্ত্রী সামনেই মুজিব বর্ষ উদযাপন ও গত এক বছরের স্বাস্থ্য খাতের সাফল্য সমূহও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।
ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু, এফবিসিসিআই-এর পরিচালক রুহুল আমিন খন্দকার ও ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী।
বাসস/সবি/এমএন/১৯০৭/কেএআর