আগামী বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা বঙ্গবন্ধু স্মরণে উৎসর্গ করা হবে

626

কলকাতা, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস): আগামী বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁর স্মরণে উৎসর্গ করা হবে। ২০২১ সালের আন্তর্জাতিক এই মেলার ফোকাল থিম হবে ‘কান্ট্রি বাংলাদেশ’।
সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের মেলা প্রাঙ্গনে এসবিআই মিলনয়তনে সোমবার ‘বাংলাদেশ দিবস’ উদযাপন শেষে বইমেলা কমিটির সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় ৪৫তম কোলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার ফোকাল থিম কান্ট্রি বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করেন।
এবারের বাংলাদেশ দিবস উদযাপনের মূল বিষয় ছিল ‘জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধু ও সোনার বাংলার স্বপ্নের বাস্তবায়ন’ শীর্ষক সেমিনার। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অগ্নিনির্বাপণ, জরুরী পরিষেবা এবং বনদপ্তর প্রতিমন্ত্রী সুজিত বসু। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শামসুজ্জামান খান।
কে এম খালিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু হলেন একটি আদর্শ ও স্বপ্নের নাম। যিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, যাঁকে দেখে আরেক বিশ্ব নেতা ফিদেল ক্যাষ্ট্রো বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখেছি, কিন্তু আজ তোমাকে দেখে আমার মনে হলো তুমি হিমালয়ের চেয়েও অনেক বড়মাপের নেতা’।
তিনি বলেন, ক্যাষ্ট্রোর সেই হিমালয়ের চেয়েও বড় নেতার জন্মশতবার্ষিকী পালনের জন্য বাংলার সর্বস্তরের মান্ষু অপেক্ষা করে আছেন।
শামসুজ্জামান খান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “বঙ্গবন্ধুর পিতা পুত্র মুজিবুরকে তখন প্রতিদিন চারখানা দৈনিক পত্রিকা কিনে দিতেন, কারণ বাবা বুঝতে পেরেছিলেন মেধা-মননে তাঁর এই ছেলেটি একদিন বড় রাজনীতিবিদ হবে। সত্যিই পিতার সেই ভাবনার ছেলেটি আজ হয়েছেন বাংলার ‘বঙ্গবন্ধু ও জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান’, হয়েছেন দেশনেতা থেকে বিশ্বনেতা।’
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আবুহেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী, বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর, পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট লেখক অধ্যাপক গৌতম ভদ্র ও দুই দেশের প্রকাশনা সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ। সেমিনার শেষে বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
এদিকে ‘বাংলাদেশ দিবস’ উদযাপনের মধ্য দিয়ে রোববার শেষ হয়েছে ১২ দিনব্যাপী ৪৪তম কোলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। শেষ দিনেও বই মেলায় ব্যাপক ভীড় ছিল। এদিনেও পাঠকরা প্রতিবেশী বাংলাদেশের লেখকদের অনেক বই কিনেছেন।