শেখ হাসিনা দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে এক অনূন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন : সরকারি দল

314

সংসদ ভবন, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর যোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সতাতার মাধ্যমে দেশকে বিশ্বের বুকে এক অনূন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
গত ৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য আ স ম ফিরোজ তা সমর্থন করেন।
গত ৯ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ ও এ বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের মৃণাল কান্তি দাস, নারায়ন চন্দ্র চন্দ, বি এম কবিরুল হক, মকবুল হোসেন, আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, আরমা দত্ত, শারমিন আখতার, জাতীয় পার্টির পনির উদ্দিন আহমেদ,
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের মৃণাল কান্তি দাস ক্যূ পাল্টা ক্যূ’র নামে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা ও সদস্য হত্যার দায়ে বিএনপি ও এর প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মরনোত্তর বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, শুধু তাই নয় জিয়া ১৯৭৫ এ সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। এর দায়েও তার বিচার করতে হবে।
তিনি আলোচনায় বিএনপি- জামায়াত আমলের হত্যা, খুন অনিয়ম ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটের খতিয়ান তুলে ধরেন।
সরকারি দলের আরেক সদস্য মকবুল হোসেন জমি রেজিস্ট্রি সম্পর্কে জনদুর্ভোগ কমাতে রেজিস্ট্রি অফিসগুলো আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন আনার সুপারিশ করেন। এছাড়া তিনি কমিশনার ও ডেপুটি কমিশনারের মর্যাদার কর্মকর্তাকে পদায়ন করে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে পৃথক ভূমি অফিস স্থাপনেরও প্রস্তাব করেন।
তিনি দেশে নারী শিক্ষা আরো প্রসারে প্রতি উপজেলায় একটি করে বালিকা বিদ্যালয় ও মহিলা কলেজ জাতীযকরণ করার সুপারিশ করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের অন্যান্য সদস্য বলেন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণরূপে নির্মূলের মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ-প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে বাঙালি জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ।
তারা বলেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন ও অব্যাহত আর্থসামাজিক উন্নয়নে সকল রাজনৈতিক দল, শ্রেণি ও পেশা নির্বিশেষে সবাই আজ একতাবদ্ধ। সুশাসন ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়ন এবং সমাজের সকল স্তরে জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণের মাধ্যমে ‘এ বছর আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে মধ্য-আয়ের দেশ হিসেবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবো।’