বাসস দেশ-২৩ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : প্রধানমন্ত্রীর ১০টি উদ্যোগ বাংলাদেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করেছে : তথ্যমন্ত্রী

107

বাসস দেশ-২৩ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
ড. হাছান-প্রশিক্ষণ
প্রধানমন্ত্রীর ১০টি উদ্যোগ বাংলাদেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করেছে : তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হয়েছে উল্লেখ করে হাছান বলেন, দেশ মানব উন্নয়ন সূচকসহ অনেক আর্থ-সামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং গত ১১ বছরে অন্যান্য দেশের তুলনায় উচ্চতর জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, সরকার শিক্ষা খাতে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সাল থেকে বিনামূল্যে বই বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই খাতকে এগিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়াও, মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে সরকার প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর মায়েদের হাতে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে দিচ্ছে, যা বিশ্বে এক অনন্য প্রয়াস বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের আগে প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় ছিল। এখন দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় রয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান। মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, মুজিব বর্ষের মধ্যে বাংলাদেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হবে।
হাছান বলেন, বাংলাদেশ এখন নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বিশ্বের সামনে রোল মডেল। মাত্র ১০ বছর আগে দেশবাসী ভাবেনি, একজন মহিলা পুলিশ সুপার হিসাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য নেতৃত্বের জন্যই এটি সম্ভব হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন নয়, একটি বাস্তবতা।
তিনি বাসস-এর সাংবাদিকদের দেশবাসীর সামনে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরার আহ্বান জানান যাতে তারা সাফল্যের বিষয়গুলো জানতে পারে।
অধ্যাপক আরেফিন বলেছেন, সত্যতার বিকল্প নেই। প্রতিটি সাংবাদিকের উচিৎ সত্য প্রতিবেদন লেখা এবং এটি একজন প্রতিবেদকের মূল দায়িত্ব।
কামরুন নাহার বলেন, সাংবাদিকরা পর্যবেক্ষক এবং তারা সরকার ও জনগণের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করে। তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা তাদের রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কথা তুলে ধরেছেন।
তথ্য সচিব আশা প্রকাশ করে বলেন, প্রশিক্ষণটি অংশগ্রহণকারীদের ভালো প্রতিবেদক হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।
বাসস-এর প্রধান সম্পাদক অংশগ্রহণকারীদের কর্মশালা থেকে অর্জিত জ্ঞান তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় বিশেষত আসন্ন মুজিববর্ষে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। আজাদ বলেন, মুজিব বছরের জন্য গণনা চলছে… আমাদের এখন অনেক কাজ করার আছে।
তিন বিভাগের বাসস-এর মোট ২৪ জন সাংবাদিক প্রশিক্ষণে যোগ দেন।
বাসস/পিএসবি/অনু-এসই/১৯৩৭/কেএমকে