বাসস দেশ-১৮ : ডোনার সংকটে প্রতিবছর ৪০ হাজার কিডনি রোগী মারা যাচ্ছে

230

বাসস দেশ-১৮
কিডনি-মৃত্যু-সংকট
ডোনার সংকটে প্রতিবছর ৪০ হাজার কিডনি রোগী মারা যাচ্ছে
ঢাকা, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : অঙ্গদাতা বা ডোনার সংকটের কারণে দেশে প্রতিবছর ৪০ হাজার কিডনি বিকল রোগী মারা যাচ্ছে।
আজ শনিবার কিডনি ফাউন্ডেশন, সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন বাংলাদেশ এবং কোরিয়া ইউনিভার্সিটি আনাম হসপিটালের যৌথ উদ্যোগে কোরিয়ান সোসাইটি ফর ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন এবং বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশনের সহযোগীতায় ‘মরনোত্তর অঙ্গ দান ও সংযোজন’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। মিরপুরস্থ কিডনি ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে জানানো হয়, ২০ ভাগ কিডনি রোগের চিকিৎসা পেলেও বাকি ৮০ ভাগ চিকিৎসা সেবার বাইরেই থেকে যাচ্ছে।
সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশনের নির্বাহী পরিচালক ও তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্সেস এন্ড হসপিটালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ, রোটারি ক্লাব অব ঢাকা রয়েলের সভাপতি মো. জাহীদ হোসেন, রোটারি ইন্টারন্যাশনালের ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর এম. খাইরুল আলম। অনুষ্ঠানে অর্গান ডোনার কার্ড চালু করা হয় এবং কিডনি সংযোজন করে বেঁচে আছেন এমন কয়েকজনকে সম্মাননা দেয়া হয়।
সম্মেলনে বক্তরা বলেন, বাংলাদেশে ১৯৮২ সাল থেকে কিডনি সংযোজন ও ডায়ালাইসিস সেবা চালু রয়েছে । এখানে শতভাগ কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয় জীবিত নিকটাত্বীয়ের দেহ থেকে কিডনি বিযুক্ত করে। একইভাবে হাজার হাজার মানুষ লিভার, হার্ট, ফুসফুস, অগ্নাশয় ইত্যাদি বিকল হয়ে অকালে মারা যাচ্ছে। অথচ উন্নত বিশ্বে কিডনি বিকল ৬০ থেকে ৭০ ভাগের বেশি মানুষ মরনোত্তর অঙ্গদান প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা নিয়ে নতুন জীবন ফিরে পাচ্ছে। বাংলাদেশের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আইনে কোন বাঁধা না থাকলেও এখনো মরনোত্তর অঙ্গদান শুরুই করা যায়নি। এদেশে এই চিকিৎসা চালু হলে অকালে হারাতে হবে না এতগুলো জীবন।
সম্মেলনে বলা হয়, ধর্ম কিংবা বিদ্যমান আইনে মরনোত্তর অঙ্গ দানে কোন বাধা নেই। ওআইসি এবং বিশিষ্ট ইসলামিক ওলামাগণ মরনোত্তর কিডনি সহ অন্যান্য অঙ্গদানকে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। ফলে সৌদিআরব, ইরাক, কুয়েত, মালয়েশিয়া, ইরান প্রভৃতি দেশ মরণোত্তর অঙ্গদানে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের জন্য দরকার মানুষের ব্যাপক সচেতনতা।
বাসস/সবি/এমআর/১৮৪৮/-আসাচৌ