বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

268

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১
শেখ হাসিনা – বাণী
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনবান্ধব পুলিশ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “জনবান্ধব পুলিশ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন হতে হবে এবং সেবা প্রত্যাশীদের সর্বোত্তম আইনগত সহায়তা দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী “ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানান।
এ উপলক্ষে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-সহ বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সরকার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে একটি যুগোপযোগী, দক্ষ ও জনবান্ধব বাহিনীতে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে আধুনিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশে অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় প্রায় ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সম্পন্ন করে বাংলাদেশ পুলিশ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পুলিশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ ইতোমধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। জনগণ ৯৯৯ ব্যবহার করে এখন খুব সহজেই ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের সেবা পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন , “আমরা ২০০০ সালে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের ভিত্তি গঠন করে দিয়েছিলাম। পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে ইতোমধ্যেই কমিউনিটি ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমাদের সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের ফলে বাংলাদেশ পুলিশে আজ গুণগত পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক উন্নয়নের ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখব।”
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ পুলিশকে আধুনিক ও জনবান্ধব করে গড়ে তুলতে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ পুলিশের জনবল ধাপে ধাপে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমরা পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে বিশেষায়িত ইউনিট- পুলিশ ব্যুরো অভ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ, স্পেশাল সিকিউরিটি এন্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ গঠন করেছি। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে আমরা ইতোমধ্যে পুলিশ এন্টি টেরোরিজম ইউনিট এবং কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট গঠন করেছি।”
পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পুলিশ স্টাফ কলেজ ও বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি-সহ পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে আধুনিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের বৈদেশিক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রও বৃদ্ধি করা হয়েছে । আগামীতে নারী পুলিশের জন্য একটি স্বতন্ত্র ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/কেসি/১৯৫০/কেকে