গডফাদারদের ধরতে বিভিন্ন জেলায় গোয়েন্দা কর্মকর্তা : দুদক চেয়ারম্যান

183

ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, অপরাধ জগতের সকল গডফাদারকে ধরতে বিভিন্ন জেলায় গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, কমিশনের আজকের বৈঠকে দুদকের ২২ টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ২২ জন গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সব গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গডফাদারদের অবৈধ সম্পদের খোঁজখবর নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি ও তাদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করবেন।
দুদক চেয়ারম্যান বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুন বাগিচাস্থ সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এ সব গোয়েন্দা কর্মকর্তারা প্রতিটি জেলায় যারা মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাস, খাস জমি দখল, ঘুষ-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অপরাধ জগতের গডফাদার হিসেবে যারা আবির্ভূত হয়েছেন, তাদের জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে রিপোর্ট করবেন। কমিশন এসব রিপোর্ট যাচাই-বাছাই করে এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বৈঠকে দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্তসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, যারা সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করছেন, তাদের আইনী প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যারা অবৈধভাবে ব্যাংকের বা সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে, তা পাচার করে বিদেশে বিলাসবহুল জীবন-যাপন করছেন, তাদের প্রত্যেককেই অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। ইন্টারপোলসহ আন্তর্জাতিক সকল আইনী টুলস-টেকনিক প্রয়োগ করে অপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে এবং দেশের সম্পদ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে।’
পরে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে একটি ডে-কেয়ার সেন্টারের উদ্বোধন করেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এই ডে কেয়ার সেন্টার চালু করার মাধ্যমে আমাদের নারী কর্মকর্তারা আরো নিশ্চিন্তমনে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। আবার অনেক পুরুষ কর্মকর্তা রয়েছেন যাদের স্ত্রী চাকরি করেন। তাদের সন্তানদের পরিপালনের বিষয়টি একটি উদ্বেগের কারণ।
তিনি বলেন, দুদকে যেসব নারী কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন তারা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। গ্রেফতার, দুর্নীতিবিরোধী অভিযানেও তারা দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। তাদের শিশুদের নিরাপদ রাখার ব্যবস্থা করায় তাদের কাজের মান ও পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তার দৃঢ় বিশ^াস।