বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (২য় ও শেষ কিস্তি) : রোহিঙ্গাদের সফল প্রত্যাবাসনে ইইউ’র সমর্থন কামনা প্রধানমন্ত্রীর

117

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (২য় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-কোঁতে-বৈঠক
রোহিঙ্গাদের সফল প্রত্যাবাসনে ইইউ’র সমর্থন কামনা প্রধানমন্ত্রীর

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতির কথা স্বীকার করে বিবৃতিতে তারা বলেন, গত কয়েক বছওে সার্বিক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বেড়ে ২ বিলিয়ন ইউরোর ওপরে দাঁড়িয়েছে।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কথা স্বীকার করেন, যার লক্ষ্য ২০২৪ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) সমূহের তালিকা থেকে বের করে আনা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উভয় পক্ষই টেক্সটাইলসহ বাংলাদেশে ইতালীয় সংস্থাগুলোর উপস্থিতির প্রশংসা করেন।’
এতে আরো বলা হয়, উভয় নেতাই ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-ইতালি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বিশেষকরে তৈরী পোশক খাত, ওষুধ শিল্প, হাল্কা প্রকৌশল, চামড়া, হাইটেক এবং প্রচলিত এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উভয় খাতে সমৃদ্ধকরণে নিজস্ব আস্থা ব্যক্ত করেন।
নীল অর্থনীতির ক্ষেত্রটিকেও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, একই সঙ্গে ইতালির আউটরিচ কার্যক্রম ভারত মহাসাগর রিম অ্যাসোসিয়েশন (আইওআরএ) এর সঙ্গে সম্পর্কিত।
বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় নেতাই ইতালিতে ১ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি বৃহৎ বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের অবস্থানের কথা স্মরণ করেন, যাদের বেশিরভাগই ইতালীয় সামাজিক কাঠামোয় সুসংহত। আলোচনার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অভিবাসনের ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরো সুদৃঢ় করার দিকে নিবদ্ধ ছিল।
দুই প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত অভিবাসন ও অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সম্ভাব্য আইনী পথের বিষয়ে কথা বলেছেন।
তাঁরা জাতিসংঘের আওতার মধ্যে ইতালি এবং বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার ইতিবাচক মাত্রার প্রশংসা করেন, যেখানে উভয় দেশই পরম্পরাগত ভাবে একে অপরের প্রার্থীতার সমর্থক।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) দলের পদমর্যাদার থেকে উত্তোরণ হওয়ার পরেও ইইউ’র পণ্যবাজারে বাংলাদেশী পণ্যের প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে ইতালির সমর্থন চেয়েছে।
দুই প্রধানমন্ত্রী সম্ভাব্য দ্বিপক্ষীয় চুক্তি (সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি, রাজনৈতিক পরামর্শ, কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা) সম্পর্কিত চলমান আলোচনার বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘উভয় পক্ষই আলোচনা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে।’
উভয় নেতাই ২০২২ সালে বাংলাদেশ এবং ইতালির কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তীকে গুরুত্ব প্রদান করেন।
তাঁরা সংশ্লিষ্ট দূতাবাসগুলোর নিজ নিজ উদ্যোগে উভয় দেশের রাজধানীতে একত্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এই ইভেন্টটি উদযাপনেরও আহ্বান জানান।
দুই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনশ শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনেরও উল্লেখ করেন (১৭ মার্চ ২০২০ সাল থেকে ২৬ মার্চ ২০২১ সাল)।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব বর্ষ উদযাপনকালে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিওসিপে কঁতে’কে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
কঁতে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোয় প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ ধন্যবাদ জানান।
বাসস/এসএইচ/অনু-এফএন/১৪২০/আরজি