বাসস দেশ-৩০ : প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি খাতের উন্নয়নে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে : প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

227

বাসস দেশ-৩০
খসরু-দুগ্ধ-খাত-আলোচনা
প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি খাতের উন্নয়নে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে : প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, দেশের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি খাতের উন্নয়নে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
আজ রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে অক্সফ্যাম ও বাংলাদেশ ডেইরী ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (বিডিডিএফ) আয়োজিত ‘প্রান্তিক দুগ্ধ খামারিদের বিকাশে সরকারি-বেসরকারি নীতিমালা ও সেবা : সমস্যা ও সম্ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
বিডিডিএফ-এর সভাপতি উম্মে কুলসুম স্মৃতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথুরাম সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার হাবিবুর রহমান।
সভায় মূলনিবন্ধ পাঠ করেন বিডিডিএফের প্রচার সম্পাদক ও অক্সফ্যামের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মো. মুতাসীম বিল্লাহ। অনুষ্ঠানে এই শিল্পের সাথে জড়িত সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার ও ফার্মের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রান্তিক দুগ্ধ খামারিদের বিকাশে ও স্বার্থরক্ষায় সরকার সবধরনের উদ্যোগ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করছে। দেশের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি খাতের উন্নয়নে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। দেশে যেসব ফার্ম গড়ে উঠবে, তাদের সাহায্য করার জন্য এই প্রকল্প। এছাড়া, ক্ষুদ্র খামারি ও নারী উদ্যোক্তাদের প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০০ কোটি টাকার পুন:অর্থায়ন তহবিলের মাধ্যমে বন্ধকবিহীন ৪% সরল সুদে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। এই স্কীমকে আরও বৃহৎ ও কার্যকর করার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’
মো: আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, গত দশ বছরে দুধের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ, এখন জনপ্রতি প্রাপ্যতা ১৬৫ মিলি। ২০০৯-১০ অর্থবছরে দুধ উৎপাদন ২৩.৭০ লক্ষ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে ৯৯.২৩ লক্ষ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে, যা ৪.১৯ গুণ বেশী।
প্রতিমন্ত্রী দুধ প্রক্রিয়াজাত কোম্পানিগুলোকে কম মুনাফা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দপ্রান্তিক খামারিদেরকে আপনারা দুধের ন্যায্য মূল্য দিন, কৃষকদেরকে বাঁচিয়ে রাখুন। আপনারা আরেকটু লিবারেল হলে এবং মুনাফা কম করলে ডেইরি সেক্টর টিকে থাকবে।’
প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদিত দুধ যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য সারা দেশে প্রান্তিক জনপদে ৩৫টি চিলিং প্লান্ট (দুধ শীতলিকরণ) স্থাপন করা হবে। তাছাড়া, দেশের ডেইরি শিল্পের বিকাশে আমরা গত বছর গুড়ো দুধের উপর ৫% আমদানি শুল্ক বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। বিদেশ থেকে ধীরে ধীরে গুড়ো দুধ আনা বন্ধ করে দিবো। আমাদের দেশের দুধ দিয়েই আমাদের চাহিদা পূরণ হবে। এজন্য দরকার বেশি বেশি মানসম্মত দুধ উৎপাদন ও সঠিক বিপণন।
বাসস/সবি/এমএন/২০৩৫/এইচএন