বাসস দেশ-২৩ : সন্ত্রাসবাদ, সহিংস উগ্রবাদ ও মৌলবাদ নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ : রাষ্ট্রদূত

138

বাসস দেশ-২৩
জাতিসংঘ-আন্ত:ধর্মীয় সম্প্রীতি সপ্তাহ
সন্ত্রাসবাদ, সহিংস উগ্রবাদ ও মৌলবাদ নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ : রাষ্ট্রদূত
ঢাকা, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা সন্ত্রাসবাদ, সহিংস উগ্রবাদ ও মৌলবাদ নির্মূলে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি ও এক্ষেত্রে সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের ফ্লাগশীপ রেজুলেশন ‘শান্তির সংস্কৃতি’র মাধ্যমে আন্ত:ধর্মীয় ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপের প্রসারে আমরা নিরবচ্ছিনভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ‘বৈষম্য, বৈরিতা ও সহিংসতা বন্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্য মোকাবিলা ও উস্কানি প্রতিরোধ: জাতিসংঘ ব্যবস্থাপনার মধ্যে সমন্বয়’ শীর্ষক এক সাইড ইভেন্টে বক্তব্য প্রদানকালে বাংলাদেশে বিদ্যমান আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির কথা তুলে ধরেন তিনি ।
মঙ্গলবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সপ্তাহ উপলক্ষে জাতিসংঘের জেনোসাইড প্রিভেনশন ও রেসপন্সিবিলিটি টু প্রটেক্ট কার্যালয় এই সাইড-ইভেন্টের আয়োজন করে। এতে সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ, মরক্কো ও ইতালি।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয় উক্তি‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ উদ্বৃত করেন এবং কিভাবে বাংলাদেশে মুসলিম,হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে মিলে-মিশে বসবাস করছে সে চিত্রও তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আমরা সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে গঠিত‘গ্লোবাল কমিউনিটি এনগেজমেন্ট এন্ড রেজিলিয়েন্স ফান্ড (জিসিআরইএফ) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং আন্ত:ধর্মীয় প্রচারণা, আন্ত:সাংস্কৃতিক সংলাপ ও সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধ বিষয়ক গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস্ এর সদস্য।
গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত অ্যাডামা ডিয়েং ইভেন্টটির সঞ্চালনা করেন।
সম্প্রতি, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্র ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সিভিল সোসাইটি প্রতিষ্ঠানসমূহ অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করেন।
বাসস/সবি/এসএস/১৯২৫/কেএআর