সুন্দরবনের ছোট খালগুলোতে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে : বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী

638

বাগেরহাট, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ (বাসস) : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, সরকার জীববৈচিত্র্যে ভরপুর ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সুন্দরবন সুরক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের ছোট খালগুলোতে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই বনের সার্বক্ষণিক তদারকীতে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট প্রেট্রেলিং ব্যবস্থা চালু রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাটের মোংলায় বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপমন্ত্রী বলেন, বিশে^র বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট সুন্দরবন। তাই সরকারের পাশাপাশি এই বন সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই, বিশ্ব জলাভূমির এই ম্যানগ্রোভ বন সুরক্ষিত থাকবে।
তিনি বলেন, প্রতিটি প্রাকৃতিক দূর্যোগে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে সুন্দরবন আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। সেকারণে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য নিরাপদ রাখতে এই বন সন্নিহিত লোকালয়ের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মো. মঈনুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. বশিরুল আল মামুন, খুলনার বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মোদিনুল আহসান, মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাদের হাওলাদার এবং উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রাহাত মান্নান বক্তব্য দেন।
সুন্দরবনে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ইরাবতীসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির ও ডলফিন কনজারভেশন টিম লিডার মো. মাসুদ শেখকে ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন উপমন্ত্রী।
বিশ্ব জলাভূমি দিবসের অনুষ্ঠানের শুরুতে বর্ণাঢ্য একটি র‌্যালী ফরেস্ট লঞ্চ ঘাট হতে শুরু হয়ে জয়মনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।