বাসস সংসদ-৪ : বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে এগিয়ে চলছে : সরকারি দল

202

বাসস সংসদ-৪
রাষ্ট্রপতির ভাষণ-আলোচনা
বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে এগিয়ে চলছে : সরকারি দল
সংসদ ভবন, ৪ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, বর্তমান সরকারের ১১ বছরে সফল ভাবে জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্্রাব্ধ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকে এগিয়ে চলছে।
গত ৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য আ স ম ফিরোজ তা সমর্থন করেন।
গত ৯ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ ও এ বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ আলোচনায় অংশ নেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সূজন, সরকারি দলের ইবাদুল করিম, এডভোকেট সাহারা খাতুন, সৈয়দা জাকিয়া নূর, আয়েশা ফেরদৌস, নাদিরা ইয়াসমিন জলি এবং জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম তালুকদার, আহসান আদিলুর রহমান,
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের আব্দুল মতিন খসরু লেন, বিএনপি- জামায়াত সরকার এ দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুর্নবাসন করে বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছেন এবং স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতকে রাজনীতি করার অধিকার ফিরিয়ে । আর তার উত্তরসূরি বেগম খালেদা তাদের মন্ত্রী বানিয়ে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। পাশাপাশি জিয়া কুখ্যাত ইনডেমনিটি বিলের অনুমোদন দিয়ে বিচারের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিল।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সে কুখ্যাত আইন বাতিল করে খুনীদের বিচার নিশ্চিত করে তাদের ফাঁসি কার্যকর করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
খসরু বিদ্যমান বিশাল মামলা জট কমিয়ে আনতে বিচারপতি নিয়োগসহ বিচার বিভাগে জনবল বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন তার মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর দীর্ঘ ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে বিভিন্ন খাতে ব্যাপক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রেলের যাত্রী সেবা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়া রেলের নতুন ইঞ্জিন ও কোচ সংযোজন করে রেলের সংখ্যা বৃদ্ধি করে যাত্রী চলাচল আরো সচ্ছন্দ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমেরিকার থেকে ৪০ ব্রডগেজ রেল ইঞ্জিন ক্রয়ের চুক্তি করা হয়েছে। ২০২১ সালের মার্চ এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসব ইঞ্জিন দেশে আসবে। এছাড়াও এ বছরের জুনের মধ্যে ১০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন এবং আগামী বছরের মধ্যে আরো ২০টি ইঞ্জিন বাংলাদেশে রেলে সংযোজিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, পাশাপাশি সরকার দ্রুতগতি সম্পন্ন রেল সংযোজনে কাজ করছে। এর অংশ হিসাবে বিদ্যমান ৬০ কিলোমিটার গতিবেগের স্থলে ১শ’ কিলোমিটার গতিবেগ সম্পন্ন রেল সংযোগ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার এ দেশের রেল ব্যবস্থাকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল। তারা রেলের কোন উন্নয়নই করেনি। বরং রেলের সম্পত্তি বেহাতসহ বিভিন্ন দুর্নীতি করেছে। আর বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার ৩ মেয়াদে জনবান্ধব এ খাতের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। গত ১১ বছরে নতুন রুটে আধুনিক রেল সার্ভিস চালুর পাশাপাশি এ ব্যবস্থাকে একটা শৃংঙ্খলার মধ্যে নিয়ে এসেছে।
মন্ত্রী বলেন, শুধু নতুন ইঞ্জিন ও কোচ সংযোজনই নয়, দীর্ঘ দিনের অবহেলার ফলে জরা-জীর্ণ হয়ে উঠা রেল লাইন মেরামত করার পাশাপাশি নতুন রেল লাইন ও রেলসেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসাবে যমুনা নদীর উপর নির্মীত বঙ্গবন্ধু সেতুর উজানে ৩শ’ মিটার দৈর্ঘের একটি রেল সেতু নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশনের আর্থিক সহযোগিতায় এ সেতু নির্মিত হচ্ছে।
সূজন জানান, চলতি বছরের ১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী জুন নাগাদ ঢাকা -শিলিগুড়ি ও শিলিগুড়ি-ঢাকা রেল সার্ভিস চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে সরাসরি ভারতের সাথে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এছাড়া আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা- কলকাতা চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস সপ্তাহ চার দিনের স্থলে পাঁচদিন চলাচলের ব্যাপরে নয়া দিল্লী সম্মত হয়েছে।
সরকারি দলের অন্যান্য সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে সূচিত বিভিন্ন খাতে অর্জিত সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির তীব্র সমালোচনা করেন।
বাসস/এমআর /২০২৬/-অমি