প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে চলছে : সরকারি দল

324

সংসদ ভবন, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশের দ্বার প্রান্তে আর উন্নত দেশের দিকে অপ্রতিরুদ্ধ গতিতে এগিয়ে চলছে।
গত ৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য আ স ম ফিরোজ তা সমর্থন করেন।
গত ৯ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ ও এ বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ আলোচনায় অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সরকারি দলের শাহজান খান, সাঈমুম সরোয়ার কমল, আখতারুজ্জামান, মো. রহমতুল্লাহ, হাফেজ রুহুল আমীন মাদানি, মনেরঞ্জনশীল গোপাল, শবনম জাহান, মনিরা সুলতানা, অপরাজিতা হক, নাহিদ এজহার খান, তামান্না নুশরাত বুবলী, জাতীয় পার্টির ফিরোজ রশীদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির মোস্তফা লুৎফুল্লাহ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সমাজকল্যালণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রপতি তাঁর দীর্ঘ ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেক হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে বিভিন্ন খাতে ব্যাপক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেছেন।
তিনি রাষ্ট্রপতির ভাষণের প্রশংসা করে বলেন, রাষ্ট্রপতি দেশের এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বর্তমানে এ অঞ্চলের মধ্যে শান্তির জনপদে পরিনত হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই বলেই দেশের জনগণ বারবার তাকে নির্বাচিত করছে। দেশের মানুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শততম জন্ম বার্ষিকী পালনের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বের স্বার্থক রাজনৈতিক নেতার স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ এ বাঙালীর জন্ম শতবার্ষিকী পালনের সুযোগ পাওয়ায় আমরা মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছ্ ি।
তিনি নির্বাচিত ঢাকার দু’সিটি মেয়রকে অভিন্দন জানিয়ে বলেন, আবারো ঢাকাবাসী দু’প্রার্থীকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন।
সরকারি দলের অন্যান্য সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারী বান্দব নীতিমালার ফলে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন সূচকে বাংলাদেশকে বিশ্বে এক অনূন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তার পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ নারী-পুরুষের জেন্ডার বৈষম্য নিরসন হয়েছে।
তারা রাষ্ট্রপতির ভাষণকে সময়োপযোগি উল্লেখ করে বলেন, ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতেৃত্বে গত ১১ বছরে দেশের বিভিন্ন খাতে অর্জিত ব্যাপক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। এ সময়ে দেশে শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য সেবা, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ খাদ্য, শিল্প ব্যবসা বাণিজ্য, জ্বালনি ও বিদ্যুৎ, গ্রামীন অবকাঠামোসহ সব খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
বিশেষ করে তারা খাদ্য, কৃষি ও বিদ্যুৎ খাতের কথা উল্লেখ করে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার আমলে দেশে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমানে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। অথচ বিএনপি- জামায়াত সরকার আমলে বিদ্যুতের জন্য মানুষকে গুলি খেয়ে পাণ দিতে হয়েছে। আর এ সরকারের আমলে সারা দেশে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। এখন আর জনগণকে বিদ্যুতের দাবি করতে হচ্ছে না। বিনা খরচে সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌছে দেয়া হচ্ছে। এতে দেশে শিল্প, বাণিজসহ বিদ্যুৎ নির্ভর সব খাতের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে।
সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্যে উদবৃত্ত দেশে পরিনত হয়েছে। অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় কৃষি উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। মৎস্য উৎপাদনে দেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। মাংস, ডিমসহ অন্যান্য ভোগ্য পণ্যে বাংলাদেশ দ্রুত স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে যাচ্ছে।
তারা বলেন, শুধু তাই নয় এখন শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। প্রতি বছরের শুরুর দিন ২ কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দেয়া হচ্ছে। বিদ্যালয় গমনোপযোগি সব শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। এরাই একদিন আলোকিত মানুষ হয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নও নিশ্চিত করেছেন। সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের ফলে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সেশন জট নিরসন করা হয়েছে। আর কর্মসংস্থানে ব্যপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে।