ঢাকা, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : ঢাকার কেরাণীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ফসলের মাঠ যেন সরিষা ফুলের হলুদ আচ্ছাদনে ঢেঁেক গেছে। প্রকৃতি যেন তার আপন মহিমায় ফসলের মাঠকে সাজিয়েছে বর্ণিল সাজে। দূর থেকে দেখে মনে হয় এসব এলাকার মাঠ জুড়ে কেউ যেন হলুদ চাঁদর বিছিয়ে রেখেছে। একইসাথে হলুদ রংয়ের আভার সাথে বাতাসে বইছে সরষে ফুলের মধুর মৌ মৌ গন্ধ। মৌ মাছিরা ছুটছে মধু সংগ্রহ করতে। মৌ-চাষিরাও ব্যস্ত সময় পারকরছেন মধু সংগ্রহের কাজে। মধু সংগ্রহের লক্ষে মৌচাষিরা এরই মধ্যে বাস্তা ইউনিয়নের কোনাখোলা-রাজাবাড়ি সড়কের পাশে শতাধিক মৌ-বক্স সাজিয়েছেন সরিষা ক্ষেতে। এ দৃশ্য দেখতে প্রকৃতি প্রেমীরা আসছেন সরষে মাঠের কাছে। তারা মোবাইল ক্যামেরায় বন্ধি করছেন সরষে ক্ষেতের নয়নাভিরাম দৃশ্য। এ দৃষ্টি নন্দন নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে যারা শহরে থাকেন কিছুক্ষণের জন্য হলেও মনকে ফিরিয়ে নিতে হবে সেই শৈশব কিংবা কিশোর বেলার স্মৃতির আঙিনায়। উপজেলার কালিন্দী, বাস্তা, রুহিতপুর, কলাতিয়া, তারানগর ও হযরতপুর এলাকার মাঠজুড়ে দোল খাচ্ছে হলুদ সরষে গাছ। উপজেলা কৃষি অফিসের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, এ বছর এ উপজেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
কালিন্দী এলাকার চাষী মো. আজগর আলী জানান, এবছর সরিষা ফলন ভালো। পোকামাকড়ের উপদ্রব কম। আসা করি গতবছরের তুলনায় এবছর সরিষা বেশি হবে। তবে কুয়াঁশা ও শীতের কারনে ফলনের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে।
কেরাণীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.শহিদুল আমিন বাসসকে জানান, এবছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ২৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। যা সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়েছে। এ বছর আবহাওয়া রয়েছে অনুক’ুলে। এখন পর্যন্ত পোকার উপদ্রব কম। যে কারণে সরিষা গাছও রয়েছে রোগ মুক্ত। ফলে এবছর সরিষার ভালো ফলন আশা করা যায়। এবছর সরিষার আবাদ বাড়লেও কমেছে গমের আবাদ। তবে পাশা পাশি বৃদ্ধি পেয়েছে মটর ,আলু ও শাক-সব্জির আবাদ। তীব্র শীত ও ঘন কুঁয়াশায় ফসল হানির কারণ। যা এবছর এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান। এভাবে আবহাওয়া থাকলে সরিষাসহ অন্যান্য সব্জির বাম্পার ফলনে কিছুটা ব্যত্যয় দেখা দিতে পারে।