ভাষণ সরকারের উন্নয়ন দর্শনের বাস্তব প্রতিফলন: সরকারি দল

284

সংসদ ভবন, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা এ ভাষণকে সরকারের উন্নয়ন দর্শনের বাস্তব প্রতিফলন আখ্যা দিয়ে বলেছেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণে বর্তমান সরকারের ১১ বছরের উন্নয়ন কর্মকান্ডের চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত- সমৃদ্ধ দেশে প্রতিষ্ঠিত করার দিক দর্শনও তুলে ধরা হয়েছে।
গত ৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য আ স ম ফিরোজ তা সমর্থন করেন।
গত ৯ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ ও এ বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ আলোচনায় অংশ নেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা,সরকারি দলের মহাম্মদ ফারুক খান, ইকবাল হোসেন, সুবর্ণা মোস্তফা,রতœা আহমেদ, বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, আদিবা আঞ্জুম মিতা, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার ও জাসদের হাসানুল হক ইনু ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারী বান্দব নীতিমালার ফলে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন সূচকে বাংলাদেশকে বিশ্বে এক অনূন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তার পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ নারী-পুরুষের জেন্ডার বৈষম্য নিরসন সূচকে ১৪৯টি দেশের মধ্যে ৫ম স্থানে উন্নীত হয়েছে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন মুজিব বর্ষে ১ লাখ নারী উদ্যেক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে জয়িতা ফাউন্ডেশন থেকে সারা দেশে নারীদের বিভিন্ন প্রক্ষিন প্রদান করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে এ বছরকে বাল্য বিয়ে নিরোধ বর্ষ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিভাগীয় কমিশনার, আইজিপি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, স্থানীয় ইমাম, ম্যারিজ রেজিস্টার ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করা হচ্ছে। এছাড়া সারা দেশে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ কমিটিগুলোকে সক্রিয় করা হয়েছে।
সরকারি দলের মোহাম্মদ ফারুক খানসহ অন্যান্য সরকারি দলের সদস্যরা রাষ্ট্রপতির ভাষণকে সময়োপযোগি উল্লেখ করে বলেন, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১৬৩ পৃষ্ঠার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতেৃত্বে গত ১১ বছরে দেশের বিভিন্ন খাতে অর্জিত অভূতপূর্ব উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। এছাড়া ভাষণে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
তারা বলেন, সরকারের কৃষি বান্ধব নীতির ফলে কৃষি উৎপাদন যে কোন সময়ের তুলনায় কয়েকগুন বেড়েছে। বর্তমান সরকারের গত ১১ বছরে দেশের সকল খাতের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দেশের মানুষ এখন খেয়ে পরে সুখে আছে। এখন আর কৃষককে সারের জন্য গুলি খেয়ে মারা যেতে হয় না। সার এখন কৃষকের ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে।
তারা বলেন, শুধু তাই নয় এখন শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। প্রতি বছরের শুরুর দিন ২ কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দেয়া হচ্ছে। বিদ্যালয় গমনোপযোগি সব শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। এরাই একদিন আলোকিত মানুষ হয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নও নিশ্চিত করেছেন। সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের ফলে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সেশন জট নিরসন করা হয়েছে। আর কর্মসংস্থানে ব্যপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে।