পঞ্চগড়, ৯ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার গজপুরী গ্রামের শরবত আলী (৩৫)। কৃষি ফসলের পাশাপাশি পেঁপে চাষে সফলতা পেয়েছেন। তিনিই প্রথম জেলায় বাণিজ্যিকভাবে নিজের জমিতে পেঁপে চাষ করেছেন এবং একজন সফল চাষী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি ৩ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছেন। মাস খানেকের মধ্যে আরো ৪ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।
কৃষক শরবত আলী জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণ নিয়ে তিনি ২৫ বিঘা জমিতে পেঁপের বাগান করেছেন। চারা, বীজ, জেব সার, জমি প্রস্তুত ইত্যাদি খাতে তার খরচ হয় প্রায় ২ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে তিনি জমি থেকে পেঁপে তুলে ৩ লাখ টাকা বিক্রি করেছেন।
এখন তার জমিতে অসংখ্য পেঁপে ধরেছে। প্রতিটি গাছে ২০/২৫টি পেঁপে শোভা পাচ্ছে। একেকটি পেঁপের ওজন ২ থেকে আড়াই কেজি। পেঁপে চাষে তার এই সফলতা দেখে গ্রামের অন্য কৃষকরাও পেঁপে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
দেবীগঞ্জ কৃষি অফিস জানান, পেঁপে একটি লাভজনক ফসল। এটির চারা রোপণের মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই ফল ধরে। ১৫/২০ দিন পর পর পেঁপে তোলা যায় এবং বিক্রি করা যায়। পেঁপে চাষ করে কৃষক লাভবান হতে পারেন বেশি।
জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক সামছুল হক বাসসকে জানান, শরবত আলী কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে তিনি পেঁপের বাগান করেছেন। পেঁপের চাহিদা বাজারে বেশি থাকায় ভাল মূল্য মিলে। শরবত আলীর দেখাদেখি ওই এলাকার আরও অনেক চাষী আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে এগিয়ে এসেছেন।