পরিবেশে ৫ ম্যাজিস্ট্রেট দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে হাইকোর্ট নির্দেশ

198

ঢাকা, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস): পরিবেশ রক্ষায় অভিযান পরিচালনার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে একমাসের মধ্যে ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণায়লকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
আদালতের তলবে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একেএম রফিক আহাম্মদ আজ আদালতে হাজির হন। ঢাকার বায়ুমান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের জনবলের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ডিজিকে আজ হাজির হতে গত ১৩ জানুয়ারি নির্দেশ দেয়া হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করীম।
আদালতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, বায়ু দূষণ নিয়ে আদালতের আদেশ আমাদের অনেক বেশি শক্তিশালী করেছে। এত কিছুর পরও কেন দূষণ কমছে না-সে বিষয়ে একটি সেমিনার করেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়ে। সেখানে তারা কিছু মতামত দিয়েছেন। মতামতগুলো তিনি আদালতে পড়ে শোনান।
এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বাসার ।
ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে গত বছরের ৯ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছিলো পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়। কিন্তু এর মধ্যে খুলনার জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করে জন প্রশাসন। এ তথ্যে আদালতকে অবহিত করার পর এক মাসের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরে ৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করতে আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন আদালত।
এছাড়াও বায়ু দূষণ রোধে বিশেষজ্ঞ মতামত এবং উচ্চতর কমিটির সুপারিশ নিয়ে একটি সমন্বিত কার্যক্রম তৈরি করে ১০ মার্চের মধ্যে তা দাখিলে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।
রাজধানীতে বায়ু দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক আবেদন করে পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।
এর আগে ঢাকার পরিবেশদূষন নিয়ে গনমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত বছর ২১ জানুয়ারি জনস্বার্থে রিটটি করে এইচআরপিবি। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৮ জানুয়ারি আদালত রুলসহ আদেশ দেন। রুলে ঢাকা শহরের বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা- জানতে চায় আদালত। এছাড়াও অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে ঢাকা শহরের যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার (রাস্তা ও নির্মাণাধীন কাজের জায়গা) কাজ চলছে সেসব এলাকা ঘেরাও করে কাজ করার পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ পালন করে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। আদেশে যে সব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ চলছে এবং যেসব এলাকা ধুলোবালুপ্রবণ, সেসব এলাকায় পানি ছিটাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়।