ভোলায় মহিলা সংস্থার মাধ্যমে ১৩০ নারীর প্রশিক্ষণ চলছে

272

ভোলা, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : জেলা সদরে অনগ্রসর, অবহেলিত, বেকার নারীদের আত্বকর্মসংস্থান ও আয়বর্ধক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ৩টি ট্রেডে ১৩০ জন নারীর প্রশিক্ষণ চলছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার মাধ্যমে দর্জি বিজ্ঞান-সেলাই এন্ড এম্ব্রটারি ট্রেডে ৩০ জন। সাবান, মোমবাতি, ডিটারজেন্ট ও শোপিজ তৈরিতে ৫০ জন এবং বেসিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণে ৫০ জন মহিলা নিয়মিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ ৩টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়।
জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা কর্মকর্তা মো: ফরিদউদ্দিন (দায়িত্বপ্রাপ্ত) বাসস’কে জানান, দর্জি বিজ্ঞান-সেলাই এন্ড এম্ব্রটারি ট্রেডের জন্য নারীদের অষ্টম শ্রেণী পাস শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন। এ ট্রেডের প্রশিক্ষণ চলবে ৪ মাস পর্যন্ত। সাবান, মোমবাতি, ডিটারজেন্ট ও শোপিজ তৈরিতে প্রশিক্ষণার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত এবং এটা চলবে ৪মাস পর্যন্ত। এছাড়া বেসিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণে এসএসসি পাস করা নারীদের সুযোগ দেয়া হয় এবং এটা চলবে ৬ মাস পর্যন্ত।
তিনি আরো বলেন, প্রশিক্ষণ আগ্রহী নারীদের বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। দৈনিক সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২ ভাগে এখানে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। একইসাথে প্রশিক্ষণার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য দৈনিক ১০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেককে সনদ প্রদান ও ক্ষুদ্র ্ঋণ বিতরণের ব্যবস্থা রয়েছে।
জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলার চেয়ারম্যান আমিরুন নেছা কহিনুর বাসস’কে বলেন, জাতীয় মহিলা সংস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেক নারীই তাদের পূর্বের অবস্থার পরিবর্তন করেছেন। ঋণের টাকা দিয়ে কেউ কেউ সেলাই মেশিন কিনে সচ্ছলতা ফিরে পেয়েছেন। আবার বেশ কয়েকজন নারী ডিটারজেন্ট বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন পরিবারে। এসব কর্মমূখী প্রশিক্ষণ তাদের ভাগ্য বদলে সহায়তা করছে। এছাড়া বিভিন্ন দাতা সংস্থার মাধ্যমে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। এর ফলে এ জেলায় নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।