বাসস প্রধানমন্ত্রী-৬ : স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাদ্যের সর্বোচ্চ নিরাপদ মান নিশ্চিত করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

258

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৬
শেখ হাসিনা-নিরাপদ খাদ্য
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাদ্যের সর্বোচ্চ নিরাপদ মান নিশ্চিত করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণে সর্বোচ্চ নিরাপদ মান নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখার নিমিত্তে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্বাস্থ্যবান ও কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই। তাই জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণে সর্বোচ্চ নিরাপদ মান নিশ্চিত করতে হবে।’
আগামীকাল নিরাপদ খাদ্য দিবস। এ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য-‘সবাই মিলে হাত মেলাই, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত চাই’।
‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২০’ পালন করা হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সরকার দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। বর্তমানে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বস্তরের জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটানা গত ১১ বছর আমাদের সরকার কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রমে দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন ‘উন্নয়নের বিস্ময়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের দূরদর্শী সিদ্ধান্তে পিয়োর ফুড ওর্ডিনেন্স, ১৯৫৯ রহিত করে যুগান্তকারী ‘নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩, প্রণয়ন করা হয়েছে, যা ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়েছে। এ আইনের অধীনে আমাদের সরকার ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তারিখে ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু তাই নয়, নিরাপদ খাদ্য আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আর্থিক বিধিমালা, ২০১৯’ এবং ‘নিরাপদ খাদ্য (খাদ্য স্পর্শক) প্রবিধানমালা, ২০১৯’ প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০১৮ সালের এই দিনে প্রথম জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালন করা হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভেজাল খাদ্য শনাক্তকরণ ও নিরোধে অন-স্পট স্ক্রিনিং, মোবাইল কোর্ট এবং মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ভেজাল খাদ্য রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিকল্পে প্রচারণামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় স্থাপন এবং ল্যাবরেটরি স্থাপন ও কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরি স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে পূর্বাচলে ৫ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘খাদ্যের নিরাপত্তা ও গুণগতমান পরীক্ষণের জন্য বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ৮টি বিভাগে ৮টি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের হটলাইন সেবা ৩৩৩ এর মাধ্যমে চালু করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ তাদের পেশাগত উৎকর্ষতা অর্জনের মাধ্যমে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন এমন আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ১৭ মার্চ ২০২১ সময়কে মুজিববর্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময়ে বাংলাদেশ এবং ইউনেস্কো যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করবে। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
বাণীতে তিনি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশি¬ষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান এবং সকলের অংশগ্রহণে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিরাপদ খাদ্য প্রতিষ্ঠায় সরকার সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২০ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচি সফলতা কামনা করেন।
বাসস/তবি/বিকেডি/১৮৫৫/-আসাচৌ