বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : মিশনে কর্মরত বাংলাদেশীদের বিদেশী পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগের সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী

133

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ শেষ কিস্তি)
প্রধানমন্ত্রী-নির্বাচন-পর্যবেক্ষক
মিশনে কর্মরত বাংলাদেশীদের বিদেশী পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগের সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে নিয়ে বিদেশী কূটনীতিকদের উদ্বেগ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অতীত ইতিহাস সুখকর নয়, তাই তারা উদ্বেগ প্রকাশ করতেই পারেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির পিতার হত্যাকা-ের পর এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশে নির্বাচনের নামে অতীতে হ্যাঁ-না ভোট, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন এবং মাগুরা ও ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু, আমরা ওই পরিস্থিতি থেকে ভোট প্রদানের পদ্ধতিকে বের করে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নেই। যারা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন তাদের দেশে কিভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেই প্রমাণ আমাদের আছে।’
বিএনপি’র বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে সন্ত্রাসী, মাস্তান ও জঙ্গিদের জড়ো করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যখন কোন দল জনগণের ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, তখন তারা ভিন্ন পথ বেছে নেয়।
তিনি আরো বলেন, ‘এটাই বিএনপি’র আসল চরিত্র। দলটি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। এদেশে তারাই ভোটে কারচুপি শুরু করে। তাই এটা খুবই স্বাভাবিক যে তারা মাস্তান ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে নির্বাচনে জিততে চাইবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জনগণের উপর কখনোই আস্থা রাখতে পারে না। তারা ডিজিটাল পদ্ধতির প্রতিও আস্থাশীল নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট কারচুপি করা খুবই কঠিন। এখানে গুন্ডামী-সন্ত্রাসীর মাধ্যমে বিএনপি’র নির্বাচনে জয়ের কোন সম্ভাবনা নেই। তারা অতীতে যা করেছে, তাই করতে চাইছে।
প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে বিএনপি-কে জনগণের আস্থা অর্জনের পরামর্শ দিয়েছেন।
জনগণের আস্থাই যে কোন রাজনৈতিক দলের প্রধান শক্তি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ টানা তিনবার ক্ষমতায় এসেছে। এছাড়াও আরো একবার মিলিয়ে মোট চারবার ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ মানুষের আস্থা অর্জন করেই ক্ষমতায় এসেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ এখন এর সুফল ভোগ করছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দারিদ্রের হার ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছি এবং আমরা একটি দারিদ্রমুক্ত দেশ গঠনে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ্।’
ইভিএম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি একটি ডিজিটাল পদ্ধতি। এর মাধ্যমে সবাই অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। এখানে লুকোচুরির কিছু নেই। তবে ইভিএম নিয়ে কেন এই অহেতুক উদ্বেগ?’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমি মনে করি, এর কারণ ভোটে কারচুপি করার কোন সুযোগ নেই। যারা দীর্ঘদিন ধরে ওই পদ্ধতিতে কারচুপি করে আসছে তারা এই নতুন পদ্ধতিতে কারচুপি করতে পারবে না।’
বাসস/এসএইচ/অনু-কেএআর/১৫৫০/-আসাচৌ