বাসস দেশ-১৩ : চীন থেকে দেশে ফিরেছে ৩১৬ জন বাংলাদেশী

180

বাসস দেশ-১৩
চীন-ফেরত
চীন থেকে দেশে ফিরেছে ৩১৬ জন বাংলাদেশী
ঢাকা, ১ ফেব্রæয়ারি, ২০২০ (বাসস) : চীনের উহান থেকে আজ দেশে ফিরেছে ৩১৬ জন বাংলাদেশী। এদের মধ্যে ৩০১ জন প্রাপ্ত বয়স্ক ও ১৫ জন শিশু, যাদের তিনজনের বয়স দুই বছরের কম। তাদের সঙ্গে চারজন চিকিৎসকও রয়েছেন। মারাত্মক করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা আজ দেশে পৌঁছেছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের একজন মুখপাত্র বাসসকে এ কথা জানান।
বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর বিমান পরিচালিত বিবি-৭০০২ ফ্লাইট দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এইচএসআইএ) পৌঁছেছে।
১৫ ক্রু সদস্য ও চারজন চিকিৎসকসহ ফ্লাইটটি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে উহানের উদ্দেশে রওয়ানা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, দেশে এনে তাদেরকে আশকোনা হজক্যাম্পে ১৪ দিন বিচ্ছিন্ন রাখা হবে।
গতকাল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে এক যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘যারা ফেরত আসছে তারা অসুস্থ না, তবে আমরা ঝুঁকি নেব না।’
তিনি বলেন, এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশীদের বিশেষত চীনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভাগ্য নিয়ে চিন্তিত হয়ে পরেন। তিনি, যে সব বাংলাদেশী ফেরত আসায় আগ্রহী তাদের ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, ইতোপূর্বে চীন সরকার আমাদের জানিয়েছে, তারা ১৪ দিনের আগে কাউকে উহান ত্যাগের অনুমোদন দেবে না। তবে, গতরাতে জানিয়েছে, তারা আমাদের নাগরিকদের শুক্রবার রাতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের অনুমোদন পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করা হলে তিনি আমাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার এ সুযোগ কাজে লাগানোর নির্দেশ দেন।
মোমেন বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই ফেরত আসা নাগরিকদের বিচ্ছিন্ন রাখার হজক্যাম্পের সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
মন্ত্রী বলেন, তাদেরকে নজরে রাখা হবে এবং পরীক্ষা করা হবে। তারা ভাইরাসমুক্ত প্রমাণিত হলে ১৪ দিন পর তাদের যেতে দেয়া হবে।
সম্প্রতি তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কেবলমাত্র উহান নগরীতে যারা অসহায় অবস্থায় আটকে পরে আছে তাদের প্রতি গুরুত্ব দেবে। চীনের অন্যান্য অংশে বসবাসকারীদের ফেরত আনার প্রয়োজন হবে না।’
তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের মতো চীনে ফ্লাইট বাতিল করার কোনো পরিকল্পনা বাংলাদেশের নেই। তিনি জানান, ‘উহানের সঙ্গে আমাদের সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। চীনের কোনো ফ্লাইট আমরা বাতিল করবো না। তবে, এ মুহূর্তে আমাদের নাগরিকদের সেখানে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা নিরুৎসাহিত করছি।’
বাসস/অনু-জেজেড/১৪১৫/আরজি