প্রচারণায় গুলিবর্ষণকারী ইশরাকের পিএস আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার : ডিএমপি

159

ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে নির্বাচনী প্রচারণাকালে গুলিবর্ষণকারী বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের পিএসকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
বুধবার রাত পৌনে ১টার দিকে নগরীর হাতিরঝিল থানা এলাকা থেকে ইশরাকের পিএস আরিফুল ইসলামকে (৪৭) গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ও ৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
আজ দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন এসব কথা জানান।
তিনি জানান, “গ্রেফতারকৃত আরিফুল ইসলাম ছাত্রদলের একজন সাবেক নেতা। সে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের পিএস বলে পরিচয় দিত।”
তিনি বলেন, “স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আসা ছবি ও ভিডিও পর্যালোচনা করে তারা আরিফুলকে শনাক্ত করেন। তার মুখমন্ডল, জামাকাপড়, জুতা ও হেলমেট দেখে এবং গুলির ঘটনার কিছুক্ষণ আগে ধারণ করা স্থিরচিত্রের সঙ্গে তার হেলমেটবিহীন ছবি মিলিয়ে তাকে চিহ্নিত করা হয়। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুল সেদিন গুলি ছোঁড়ার কথা স্বীকার করেছে।”
আবদুল বাতেন বলেন, ঘটনাস্থলে পাওয়া গুলির খোসা এবং আরিফুলের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তলের ক্যালিবার এবং ৫০ রাউন্ড গুলি একই ধরনের।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৈধ অস্ত্রও এভাবে প্রদর্শন করা যায় না এবং গুলি করা যায় না। বৈধ অস্ত্রও যদি অবৈধকাজে ব্যবহার করা হয়, সেটিও অস্ত্র আইনে অপরাধ।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের ধরতে আলাদা কোনো অভিযান হচ্ছে না। সন্ত্রাসী হলে পুলিশ সব সময় ধরবে।
গত রোববার দুপুরে গোপীবাগের সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের মোড়ে আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ওই সংঘর্ষে এক সংবাদকর্মীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। সে সময় গুলির শব্দও শোনা যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। ওই সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী রুকন উদ্দিনের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও তার কর্মী সমর্থকদের মারধর করে ইশরাকের সমর্থকরা।
ওই ঘটনায় ওয়ারী থানায় একটি মামলা হয়। সেই রাতেই পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়।