২০২১ সালের মধ্যে ৭০ ভাগ ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি সরবরাহ করা হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

301

সংসদ ভবন, ২৯ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : ২০২১ সালের মধ্যে ৭০ ভাগ ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি আর ৩০ ভাগ ভূ-গর্ভস্থ পানি ঢাকাবাসীর মধ্যে সরবরাহ করা হবে।
আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এ কথা জানান।
মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ঢাকা শহরে ‘পরিবেশ-বান্ধব, টেকসই ও গণমুখী’ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে রাজধানীর ভূ-গর্ভস্থ পানির উৎসের উপর নির্ভরতা কমিয়ে ভূ-পৃষ্ঠস্থ উৎসের উপর নির্ভরতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বৃহৎ তিনটি পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে পদ্মা পানি শোধনাগার প্রকল্প (ফেজ-১) এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া আরো দুটি পানি শোধনাগার প্রকল্প হলো- সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্প (ফেজ-৩) ও গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার প্রকল্প।
তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামীণ এলাকায় ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ২০০টি নতুন পুকুর এবং ৯৫২টি পুকুর পুনঃখননের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরমধ্যে দুইটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৭টি নতুন পুকুর খনন এবং ৫৭৬টি পুকুর পুনঃখনন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি জানান, পৌর এলাকায় বর্তমানে ৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে ২৪টি পৌরসভায় নিকটবর্তী নদীর পানি পরিশোধনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পার্বত্য তিনটি জেলায় ঝর্ণার পানি সংরক্ষণপূর্বক ৫০টি গ্রাভিটি ফিল্ড সিস্টেম (জিএফএস) স্থাপনের সংস্থান রয়েছে। এরমধ্যে ৪০টি গ্রাভিটি ফিল্ড সিস্টেম (জিএফএস) স্থাপিত হয়েছে। রাঙ্গামাটি, বাগেরহাট ও ফরিদপুর জেলার ১৭টি উপজেলায় কমিউনিটি ভিত্তিতে ২০০টি ভূ-উপরিস্থ পানি শোধনাগার ইউনিট স্থাপন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মন্ত্রী জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ৫টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১২ হাজার ২৩৫টি রেইন ওয়াটার হারভেস্ট স্থাপন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরমধ্যে ৭ হাজার ৯৩২টি রেইন ওয়াটার হারভেস্ট স্থাপিত হয়েছে। ৪শ’ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ‘উপকূলীয় জেলাসমূহে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে পানি সরবরাহ প্রকল্প’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাবিত রয়েছে। এই প্রকল্পে প্রায় ৭৬ হাজার রেইন ওয়াটার হারভেস্ট নির্মাণের সংস্থান রয়েছে।