সংসদ ভবন, ২৯ জানুয়ারি ২০২০ (বাসস) : সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় বিধানের প্রস্তাব করে আজ সংসদে সামুদ্রিক মৎস্য বিল,২০২০ উত্থাপন করা হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বিলটি উত্থাপন করেন।
বিলে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকা, নৌযানের শ্রেণী ও সংখ্যা নির্ধারণ, অবৈধ, অনুল্লিখিত এবং অ-নিয়ন্ত্রিত মৎস্য আহরণ নিয়ন্ত্রন, মেরিকালচার এলাকা ঘোষণা, মৎস্য আহরণে বাধা-নিষেধ, লাইসেন্স ইস্যূর ক্ষমতা, লাইসেন্সের জন্য আবেদন, লাইসেন্স হস্তান্তর নিষিদ্ধ, লাইসেন্স নবায়ন ও মেয়াদ, নবায়নে অস্বীকৃতি, লাইসেন্স স্থগিত ও বাতিল, লাইসেন্সে শর্তারোপের ক্ষেত্র, সমুদ্র যাত্রার অনুমতিপত্র ও আগমনী বার্তা, ধৃত মৎস্য সম্পর্কে তথ্য সরবরাহের দায়িত্ব, নৌ চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি না করাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়।
বিলে এছাড়া স্থানীয় নৌযান বরাবরে লাইসেন্স ইস্যূ করতে অস্বীকৃতি, বাণিজ্যিক ট্রলার আমদানি বা স্থানীয়ভাবে তৈরিতে নমুনা অনুসরণ, আর্টিসানাল নৌযানের অনুমতি, বিদেশি মৎস্য নৌযান বরাবরে লাইসেন্স ইস্যূর অস্বীকৃতি, বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায় বিদেশী মৎস্য নৌযানের প্রবেশে বাধা-নিষেধ, লাইসেন্স ব্যতিত বিদেশী মৎস্য নৌযানের সংঘটিত অপরাধ ও দন্ড, বিস্ফোরকসহ এ ধরনের উপকরণ ব্যবহার নিষিদ্ধ, নিষিদ্ধ ঘোষিত জাল, সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি ব্যবহারের দন্ড, সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকায় মৎস্য শিকার, ড্রেজিং নিষিদ্ধ,বৈজ্ঞানিক গবেষণার অনুমতি প্রদান, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নৌযানের গতিরোধ, তল্লাশী, জব্দ, বাজেয়াপ্তি, মৎস্য নৌযানের গতিরোধ, তল্লাশী, জব্দ, বাজেয়াপ্তি, আইনের অধীনে গ্রেফতার করা ব্যক্তি সংক্রন্ত বিধান,আদালত থেকে দন্ড আরোপের অতিরিক্ত হিসাবে বাজেয়াপ্তির আদেশ, প্রশাসনিক আপিল, অপরাধ ও দন্ডসহ অন্যান্য আনুসাঙ্গিক বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া বিলে বিদ্যমান সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশ ১৯৮১ রহিত করার প্রস্তাব করা হয়।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলটি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।