বাসস দেশ-১৮ : মহানগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ৫০ বছরের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে : ইশরাক

111

বাসস দেশ-১৮
ইশরাক-নির্বাচন-সাক্ষাৎকার
মহানগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ৫০ বছরের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে : ইশরাক
ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বলেছেন, মেয়র হিসেবে তিনি নির্বাচিত হলে মহানগরীর জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধিকে বিবেচনায় রেখে রাজধানীর সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ৫০ বছরের একটি দীর্ঘ মেয়াদী সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করে পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন করবেন।
রাজধানীর গোপীবাগের বাসভবনে বুধবার সকালে বাসস’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে ডিএসসিসি’র আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
‘ঢাকাকে যানজটমুক্ত শহরে পরিণত করার কি পরিকল্পনা রয়েছে’- এমন প্রশ্নের উত্তরে ইশরাক বলেন, ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে ও নাগরিক সাধারণের দ্রুত যাতায়াতের সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এজন্য প্রয়োজনে উন্নয়ন সহযোগীদেরও পরামর্শ ও সহযোগিতা নেয়া হবে।
‘রাস্তা সংস্কারের নামে জনদুর্ভোগ বন্ধে কি পদক্ষেপ নেবেন’-এমন প্রশ্নের উত্তরে ইশরাক হোসেন বলেন, বার বার রাস্তা খোড়াখুড়ি এবং রোড ডিভাইডার ভাঙার ফলে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে যে জনদুর্ভোগ ও সম্পদের ক্ষতি হয়, সেই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
‘মেয়র হলে কেমন ঢাকা উপহার দিতে চান’-এমন প্রশ্নের জবাবে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন ঢাকার গর্বিত ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার সম্মিলনে সবার জন্য বাসযোগ্য একটি বিশ্বমানের মহানগরী গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হলে তিনি গণশুনানীর মাধ্যমে নগরবাসীর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের মতামতের ভিত্তিতে সিটি কর্পোরেশন হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করবেন। কর্পোরেশনের কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে তিনি জন্ম-মৃত্যু সনদ, ট্রেড লাইসেন্স এবং অন্যান্য সব ধরনের সেবা তাৎক্ষণিক প্রদানের লক্ষ্যে দ্রুত জবাবদিহিতামূলক ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করবেন।
ইশরাক আরও বলেন, পার্ক ও ব্যায়ামাগারে অত্যাধুনিক প্রাইমারি হেলথ চেকআপ সেন্টার স্থাপন করা হবে। প্রাতঃ ও সান্ধ্যকালীন যারা হাটেন তাদের সুবিধার্থে পার্ক ও উন্মুক্ত স্থানগুলোতে অধিকতর পরিকল্পিত আধুনিক ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। ফরমালিনমুক্ত খাদ্যসামগ্রী নিশ্চিত করতে প্রতিটি বাজারে ভেজাল পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। বিভিন্ন সম্ভাব্য জনসমাগমস্থলে ফুড কোর্ট তৈরি করা হবে।
‘মশামুক্ত ঢাকা উপহার দিতে কি ধরণের উদ্যোগ থাকবে’-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ মশার সংক্রমণ থেকে নগরবাসীকে বাঁচাতে নিয়মিত মশক নিধনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। ইন্ট্রিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট (আইভিএম) পদ্ধতিতে সকল সংস্থার সাথে সমন্বয় করে মশক নিধন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
‘মেয়র নির্বাচিত হলে প্রথম ১০০ দিনে আপনার কি কি কর্মসূচি থাকবে’- এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রকৌশলী ইশরাক বলেন, নির্বাচিত হলে স্বল্প মেয়াদে ১০০ দিনের অগ্রাধিকার কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার বিষয়গুলো চিহ্নিত করে সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে ত্বড়িত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।
‘দুর্র্নীতিমুক্ত ঢাকা সিটি গড়ার বিষয়ে আপনার অঙ্গিকার কী ? – এর জবাবে মেয়র প্রার্থী ইশরাক বলেন, ‘যাবতীয় সেবাপ্রাপ্তির জন্য এবং সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে সরাসরি অবহিত করার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে মহানগরী ও আঞ্চলিক কার্যালয়ে হট-লাইন চালু করা হবে। সেবাপ্রাপ্তির চাহিদা বা অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ব্যবস্থাা নেয়া হবে।’
বাসস/এএসজি/এমএন/১৮১৭/কেজিএ