বাজিস-১ : কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

171

বাজিস-১
কুড়িগ্রাম- বন্যা পরিস্থিতি
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
কুড়িগ্রাম, ৯ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি স্থিতিশীল থাকলেও দুধকুমারে ১ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে ধরলায় ১৪ ও তিস্তায় ১০ সেন্টিমিটার পানি কমেছে।
এলাকা জলমগ্ন থাকায় মানুষ নিচু এলাকার মানুষ এখনো ফিরতে পারেনি। তারা এখনো সরকারি রাস্তায় বা উঁচু স্থানে অবস্থান করছে। এখনো ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদ-নদী তীরবর্তী এলাকায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। ভেঙে পড়েছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিশুদ্ধ পানির সংকটের কারণে কোন কোন এলাকায় বাড়ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগের প্রকোপ। সদর উপজেলার সন্ন্যাসী বাঁধে আশ্রিত মর্জিনা বেগম জানান, এখনও ঘর-বাড়ি থেকে পুরোপুরি পানি নামেনি। তাই পলিথিন টাঙিয়ে তারা বাঁধে আশ্রয় নিয়ে আছেন। একই এলাকার বাহাদুর মিয়া জানান, নলকূপ ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন তারা। তার পরিবারসহ আশেপাশের প্রায় সবার পরিবারে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
আমন চারা, পাট, ভুট্রা, কলাসহ ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। সারোডোব গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান জানান, পাট ক্ষেত পানিতে ঢলে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ভুট্রা ক্ষেত ডুবে থাকায় বাধ্য হয়ে অপরিপক্ক ভুটা তুলছেন ক্ষেত থেকে। তবে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৬৮ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুণর্বাসন কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, বন্যা কবলিত এলাকায় রোববার ১ হাজার ৭শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৫০ টন চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। এছাড়াও ৫০ টন জিআর চাল, ২ লাখ টাকা জিআর ক্যাশ এবং ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে।
বাসস/সংবাদদাতা/রপা/১০০০/নূসী