বাজিস-৫ : নড়াইলে সুলতান মেলার শেষ হবে আগামীকাল

145

বাজিস-৫
নড়াইল-সুলতান মেলা
নড়াইলে সুলতান মেলার শেষ হবে আগামীকাল
নড়াইল, ২৬ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস): জেলায় ১২দিনব্যাপী সুলতান মেলার সমাপনী আগামীকাল। এদিন বিকেল ৫টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। এবার সুলতান পদক পাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদা জামান।আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য সুলতান পদক তুলে দিবেন ড. ফরিদা জামানকে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ^াস, পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন পিপিএম, সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক ও নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, নড়াইল পৌসভার মেয়র মো. জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।
জেলা প্রশাসন ও সুলতান ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ মাঠের সুলতান মঞ্চ চত্বরে গত ১৬ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মেলার উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।এবারের মেলাকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে উৎসর্গ ঘোষণা করা হয়েছে।
উদ্বোধনের দিন থেকেই মেলা ষ্টলে নারী, শিশু ও পুরুষের ভিড় ছিল লক্ষ্যনীয়। প্রতি সন্ধ্যায় সুলতান মঞ্চে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সুলতান ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, এবারের মেলায় এসএম সুলতান ও বরেণ্য চিত্রশিল্পীদের আঁকা চিত্র প্রদর্শনী,চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন গ্রামীণ ক্রীড়া উৎসব- হাডুডু,কুস্তি, ঘোড়ার গাড়ীর দৌড়,ষাঁড়ের লড়াই,দড়ি টানাটানি, ভলিবল খেলা, মহিলাদের ভলিবল প্রতিযোগিতা, কাবাডি,শরীর গঠন প্রতিযোগিতা, লাঠিখেলা, কলাগাছে ওঠা,বাঁশের লাঠির দৌড়,জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবৃতি, নাটক, জারিগান ও সুলতানের জীবন ও দর্শন নিয়ে প্রত্যহ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মেলায় গ্রামীণ কুটির শিল্পসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রায় ১০০টি ষ্টল বসেছে।
বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগষ্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক পান। ১৯৮৪ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট অব আর্টিষ্ট হিসেবে স্বীকৃতি পান। ১৯৯৪ সালে ১০ অক্টোবর মহান এ শিল্পী দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টে ভোগার পর যশোর সম্মিলিত হাসপাতালে শেষ-নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। সুলতানের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য তাঁর নিজ বাড়িতে নির্মিত হয়েছে এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা।
বাসস/সংবাদদাতা/১৪০০/নূসী