বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : জাপান রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সহায়তা দিতে প্রস্তুত : জাপানের রাষ্ট্রদূত

260

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-জাপান রাষ্ট্রদূত-সাক্ষাৎ
জাপান রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সহায়তা দিতে প্রস্তুত : জাপানের রাষ্ট্রদূত

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সময় জাপানের স্বীকৃতি প্রদানের কথাও স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুই এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ভিত রচনা করেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে জাপানের সংশ্লিষ্টতার জন্যও প্রধানমন্ত্রী জাপানের প্রশংসা করে বলেন, ‘অন্ততপক্ষে ৩১০টি জাপানী কোম্পানী দেশে কাজ করে যাচ্ছে।’
আঞ্চলিক যোগাযোগ সম্প্রসারণে ‘বিবিআইএন’ (বাংলাদেশ,ভ’টান, ভারত ও নেপাল) এবং ‘বিসিআইএম (বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার) ইকোনমিক করিডোর’ উদ্যোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই অঞ্চলের যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে গতিসঞ্চারে চট্টগ্রাম, মোংলা এবং পায়রা’র (সমুদ্রবন্দর) আধুনিকায়ন করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পূর্ব এবং পশ্চিমের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য কক্সবাজার বিমানবন্দরকে উন্নত করা হচ্ছে।’
জাপানের সহায়তায় বাংলাদেশে বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের উল্লেখ করে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ জাপানের সব থেকে দীর্ঘ এবং বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী।’
টোকিও’র সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর দ্রæত এবং সুষ্ঠু বাস্তবায়ন ও তাঁর দেশ প্রত্যাশা করে, বলেন তিনি।
বাংলাদেশকে বিনিয়োগের উৎকৃষ্ট গন্তব্য হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আশাকরি দুুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সহযোগিতার মাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে।’
ইতো শেখ হাসিনাকে বলেন যে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে তাঁর (শেখ হাসিনার) গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়শী প্রশংসা করেছেন এবং তিনি (অ্যাবে) দুই দেশের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা আরো শক্তিশালী করতে অপেক্ষমান রয়েছেন।
বৈঠকে জাপানের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের রাজনিতিবিদ এবং সংসদ সদস্যদের সফর বিনিময়ের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত ইতো এ সময় গত ১০ জানুয়ারি থেকে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণ গণনার অনুষ্ঠানের প্রসংগ উল্লেখ করে বলেন,‘ইহা একটি অবিস্মরণীয় ইভেন্ট।’
জাপানের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময় হলি আর্টিজান বেকারীর ভিকটিমদের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্যও তাঁকে (প্রধানমন্ত্রী) ধন্যবাদ জানান।
বাসস/এসএইচ/অনু-এফএন/০০২০/শআ/স্বব