বাসস দেশ-৫ : রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন চায় বাংলাদেশ : স্পিকার

190

বাসস দেশ-৫
স্পিকার-জারনি-সাক্ষাৎ
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন চায় বাংলাদেশ : স্পিকার
ঢাকা, ৮ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মিয়ানমারকে সুনির্দিষ্ট কাঠামো অনুসরণের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে।
আজ জাতীয় সংসদে স্পিকারের কার্যালয়ে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক ড. মং জারনি-এর নেতৃত্বে আট সদস্য বিশিষ্ট এক প্রতিনিধিদলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে শিরীন শারমিন চৌধুরী একথা বলেন।
স্পিকার প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্রুততর সময়ে বাস্তবায়ন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের দ্রুত ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায়। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে- প্রয়োজন মিয়ানমারের আন্তরিকতা।
তিনি রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অনুরোধ জানান।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মিয়ানমারের সাথে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রতি সম্মান রেখে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্পিকার আরও বলেন, সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমসহ আন্তর্জাতিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ইতিমধ্যে সরেজমিনে রোহিঙ্গাদের অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশা পরিদর্শন করে গেছেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ড. মং জারনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করলেও তা বাস্তবায়নে মিয়ানমার যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখাচ্ছে না। রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে মিয়ানমারের প্রতিবেশী প্রভাবশালী চীন ও ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। এ সময় প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- মাইকেল চারনি, মানবাধিকার কর্মী রাজিয়া সুলতানা, খিন মাই অং, রোহিঙ্গা বিষয়ক আইনবিদ নুরুল ইসলাম, মিচিমি মুরানুশি, ডরিন চ্যান, প্রফেসর ফেড্ররিক জন প্যাকের প্রমুখ।
বাসস/সবি/এমএন/১৬০৫/শহক