বাসস দেশ-৩৭ : প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদের দর্শন ছিল শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়া : স্মরণ সভায় বক্তারা

456

বাসস দেশ-৩৭
আবেদ-স্মরণ
প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদের দর্শন ছিল শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়া : স্মরণ সভায় বক্তারা
ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি, ২০২০ (বাসস) : ‘ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপার্সন, প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদের দর্শন ছিল শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়া। শিক্ষার বহুমাত্রিকতাকে ধারণের মাধ্যমে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি নিরন্তরভাবে কাজ করে গেছেন।’
জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘শিক্ষায় স্যার ফজলে হাসান আবেদের চিন্তা, আদর্শ ও কৃতি’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় বক্তারা ফজলে হাসান আবেদ সম্পর্কে এই মূল্যায়ন তুলে ধরেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধূরী মিলনায়তনে আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধূরী। সভাপতিত্ব করেন সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। প্রধান আলোচক ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রথম উপ-উপাচার্য ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ।
বিশিষ্ট প্যানেলিস্ট হিসেবে ব্র্যাক গভর্নিং বডির চেয়ারপার্সন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. মনজুর আহমেদ এবং গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী আলোচনায় অংশ নেন।
অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, স্যার ফজলে হাসান আবেদ মানুষের জীবনের পরিবর্তন চেয়েছেন। সেই পরিবর্তন ছিল মানুষের জীবনমানে গুণগত পরিবর্তন। যা করতে চেয়েছেন, তিনি তা করেছেন। শুধু স্বপ্ন দেখেই থেমে যাননি, বাস্তবায়নের জন্য জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাজ করে গেছেন।
অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, সবচেয়ে বেশি সময় ধরে টিকে থেকে পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম, এধারণা থেকেই স্যার আবেদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ বলেন, সবসময় মানুষের কথা শুনতেন স্যার আবেদ । সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন শিক্ষার উন্নয়নকে।
ড. হোসেন জিল্লুর বলেন, ‘মানুষকে কেন্দ্রে রেখে উন্নয়ন চিন্তা করতেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। শিক্ষার বহুমাত্রিকতাকে ধারণ করে কাজ করে গেছেন তিনি। চলে যাওয়ার পরও ফজলে হাসান আবেদ প্রাসঙ্গিক, আমরা তার দেখানো পথে কাজ করে যাবো।’
ড. মনজুর আহমেদ বলেন, স্যার আবেদের কর্মপরিধি ব্যাপক। কিন্তু তার দর্শন ছিল শিক্ষাকে নিয়েই এগুতে হবে।
বাসস/সবি/এমএন/২১১০/এবিএইচ